রাজশাহী: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান মিনুর বাড়ি শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ঘিরে রাখে পুলিশ। আশপাশে রাখা হয় সাদা পোশাকের পুলিশও।
তবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিজানুর রহমান মিনু মহানগরীর ভদ্রা আবাসিক এলাকার বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে পুলিশও চলে যায়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা ধারণা করে তাকে আটকের জন্যই সকাল থেকে বাড়ির সামনে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নেয়।
সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর একান্ত সহকারী (পিএস) শামসুজ্জামান বাবলু জানান, সকালে মিজানুর রহমান মিনু তার বাসায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন। কিছুক্ষণ পর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ মিনুর বাড়ির গেটে উপস্থিত হয়।
পরে মিজানুর রহমান মিনু বৈঠক না করে দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে তার বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। পরে মিজানুর রহমান মিনুও বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান।
রাজশাহীর বোয়ালিয়া জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) গোলাম সাকলায়েন জানান, তাদের কাছে তথ্য ছিল বিএনপি নেতা মিনুর বাড়িতে গোপন বৈঠক চলছে।
ওই বৈঠকে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র হতে পারে। তাই পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ যাওয়ার পর নেতাকর্মীরা বেরিয়ে যায়। এ সময় পুলিশও চলে আসে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ত্রাণের টিন ও চাল আত্মসাতের ঘটনায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চারটি মামলার কার্যক্রম গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রাজশাহী বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে বিচারাধীন এসব মামলার কার্যক্রম কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।
আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার এম মাহবুবউদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব শুনানি করেন।
তবে মিনুর বিরুদ্ধে রাজশাহীতে বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপসহ বিভিন্ন নাশকতার ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৬
এসএস/বিএস