ঢাকা: তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রশাসনের সহয়াতায় কারচুপি হওয়ার অভিযোগ তুলে বিএনপির বিদায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেছেন, অনিয়ম, কারচুপির সাক্ষীগোপাল হিসেবে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এভাবে নির্বাচন অর্থবহ হয় না।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল ৪টায় নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে সিইসিকে নির্বাচনী অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে ভুক্তভোগীদের সহায়তা দেওয়া এবং অনিয়মকারীদের বিচার দাবি করে প্রতিনিধিদলটি।
সাক্ষাৎ শেষে বিকেল ৫টার দিকে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, তৃতীয় দফার নির্বাচন আগের দুইবারের মতোই যথেচ্ছা, করাচুপি, জোর করে ভোটকেন্দ্র দখল, বিএনপির প্রার্থী এজেন্টদের বের করে দেওয়ার হয়েছে। সিল মারা হয়েছে ব্যালট পেপারে। জোর করে নির্বাচনে জেতার জন্য যা যা করার দরকার, সরকারি দলের লোকেরা তা করেছে। তাদের এই কাজে বাধা দেওয়ার পরিবর্তে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহযোগিতা করেছে।
তিনি বলেন, এমন অনিয়মের অভিযোগ সারাদেশে পেয়েছি। প্রথম দফার পরেও সিইসিকে এমন অভিযোগ দিয়েছিলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, এগুলো বন্ধ করবেন। দ্বিতীয় দফায় একই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ করেছি, তিনি একই কথা বলেছেন; চেষ্টা করবেন যাতে কারচুপি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না হয়। কিন্তু তৃতীয় দফার পরেও আমরা একই অভিযোগ করেছি। জোর করে ভোট নেওয়া হয়েছে, প্রশাসন বা পুলিশের সহায়তা পায়নি। এবারও সিইসি বলেছেন, কিছু কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকেও সাসপেন্ড করেছেন। কিন্তু এটা মাত্র কয়টা জায়গায় হয়েছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, চাটখিলে ৬২ কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি কেন্দ্র স্থগিত হয়েছে। অথচ সবগুলো কেন্দ্রই দখল হয়েছে। কাজেই ৪টা বন্ধ থাকলে রায় ঘোষণায় কোনো অসুবিধা হবে না। নির্বিঘ্নে তারা জিতে যাবে। মূলত এখানে তদন্ত হতে থাকবে।
‘আমরা এটাও বলেছি যে, যেসব জায়গায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেশি হয়েছে, খুন করা হয়েছে, আহত করা হয়েছে, সেবব জায়গায় পুনঃনির্বাচন হওয়া উচিত। অর্থহীন ভোট হবে আর সাক্ষীগোপাল হয়ে থাকবে নির্বাচন কমিশন, এ ধরনের নির্বাচনের কোনো অর্থ হয় না। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি অনুরোধ করেছেন, নির্বাচনে অংশ নিতে। তিনি এবারও বলেছেন যে, আরও কঠোর ব্যবস্থা নেবেন, যাতে ভবিষতে এমন না হয়’।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, যারা বাড়ি দখল করেছে, ভোট কারচুপি করেছে অন্তত তাদের বিচার করুন। কাউকে খুন করলে, আঘাত করলে, কোথাও ভাঙচুর করলে বিচার হয়, মানুষ অন্তত এটা বুঝুক। তিনি কথা দিয়েছেন চেষ্টা করবেন। আমরাও দেখতে চাই, নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নেয়।
এ সময় তার সঙ্গে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দীন খোকন ও দলটির নেতা ইমরান সালেহ প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।
***তৃতীয় ধাপের ইউপি নিয়ে সিইসির সঙ্গে আলোচনায় বিএনপি
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৬
ইইউডি/আইএ