ঢাকা: দেশে সুপরিকল্পিতভাবে গুপ্তহত্যা চালানো হচ্ছে, আর এই গুপ্ত হত্যার পেছনে বিএনপি-জামায়াত জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ তুলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ফোন করে কলাবাগানে জুলহাজ মান্নান হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলার সমালোচনা করে তিনি বলেন, জন কেরি যে কথা বলেন, বিএনপি-জামায়াতও সেই কথা বলে। দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সুপরিকল্পিতভাবে গুপ্ত হত্যা করা হচ্ছে। এ গুপ্ত হত্যার পেছনে রয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। যেখানেই সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী তৎপরতা দেখবেন, সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে দ্রুত অবহিত করবেন।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, জন কেরি প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে তাদের নাগরিক ও বন্ধু জুলহাজ মান্নানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের অনুরোধ জানান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তখন জন কেরিরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশে খুনের রাজনীতির ইন্ধন দিয়েছিলো। এখনও আমেরিকায় অবস্থান করছে বঙ্গবন্ধুর তিন খুনি। কিন্তু আপনারা তাদের হস্তান্তর করছেন না। এদের রাজনীতি হচ্ছে বাংলাদেশ যাতে সামনে এগিয়ে যেতে না পারে, এদের রাজনীতি হচ্ছে, যেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত না থাকে। এরা বঙ্গবন্ধুকে বিপর্যস্ত করেছিলো। মুক্তিযুদ্ধে তারা আমাদের জনগণের সঙ্গে ছিলো না।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের একজন নেতাকেও হত্যা করা হয়েছে। জন কেরিরা সে কথা বলে না। তারা উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলে। যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির আগে জন কেরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে বলেন, ফাঁসি না দিয়ে পারা যায় না। আমাদের দেশে যারা গণহত্যা করেছে, তাদের জন্য সুপারিশ করে। জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই, এদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।
শেখ সেলিম বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবগুলোর বিচার আমরা করেছি, আমাদের দলের কেউ হলেও বিচার করা হয়েছে। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দমনে আমরা জিরো টলারেন্স গ্রহণ করেছি। অপরাধী যেই হোক, তার বিচার হবে।
আগামী ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দিবসটি জাঁকজমকভাবে পালনের জন্য যৌথসভার আয়োজন করা হয়েছিলো।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৬
এসকে/টিআই