ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘মণপ্রতি ৪৫০ টাকা লোকসান গুণছেন চাষি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৬
‘মণপ্রতি ৪৫০ টাকা লোকসান গুণছেন চাষি’ ছবি: বাংলানিউজটোেয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ধানের সঠিক মূল্য নির্ধারিত না হওয়ায় চাষিরা উৎপাদিত ধানে মণপ্রতি প্রায় চারশ’ টাকা থেকে সাড়ে চারশ’ টাকা লোকসান গুণছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি।

রোববার (১৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে ধানের মূল্য ৮শ’ ৮০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা করার দাবি জানান তারা।

পার্টির চেয়ারম্যান এম এ রশিদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু। ইসলামিক পার্টির মহাসচিব মহিউদ্দিন আহমেদও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে ধানের উৎপাদন খরচ নয়শ’ টাকা হলেও কৃষক উৎপাদিত পণ্যের নায্যমূল্য পাচ্ছেন না। বর্তমান বাজারে এক মণ ধানের মূল্য পাঁচশ’ টাকা। ফলে প্রান্তিক চাষিরা মণপ্রতি ধানে চারশ’ থেকে সাড়ে চারশ’ টাকা লোকসান গুণছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে কৃষকরা ভবিষ্যতে ধান চাষ করতে নিরুৎসাহিত হবেন।

সরকার ধানের দাম কেজিপ্রতি ২২ টাকা ও চালের দাম কেজিপ্রতি ৩২ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও প্রকৃত চাষিরা এ দাম পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন তারা।

মানববন্ধন থেকে কৃষকদের বাঁচাতে ১০ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হল- ধানের মূল্য ৮শ’ ৮০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা করা, সরাসরি মাঠের কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা, কৃষকের জন্য আলাদা বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ, ডিজেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় ও কৃষকের জন্য আলাদা দাম নির্ধারণ, সকল দেশি পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ, রেলে কৃষিপণ্য আনা নেওয়ার জন্য আলাদা বগি ও ভাড়া নির্ধারণ, ভেজাল কৃষি উপকরণ ও ভেজাল কীটনাশকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া, সিটি কর্পোরেশনের ভেতরে একটি আলাদা বাজার তৈরি করা যেখানে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য নিজে এনে নিজে বিক্রি করতে পারেন, কৃষিঋণে সুদের পরিমাণ ০.১ শতাংশ ডিজিটে নামিয়ে আনা এবং আগের কৃষিঋণ মওকুফ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৬
জেপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।