ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এনপিপি’র আম নিলুর হাতেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৬
এনপিপি’র আম নিলুর হাতেই

ঢাকা: অবশেষ ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি’র কর্তৃত্ব শেখ শওকত হোসেন নিলুর কাছেই দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলটির ‘আম’ প্রতীক নিয়ে বিরোধ উত্থাপনের পর পরস্পরবিরোধী দু’পক্ষের শুনানি করে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি শেখ শওকত হোসেন নিলু এবং ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ- এই দুই পক্ষই ইসির কাছে ‘আম’ প্রতীক দাবি করেন। ফলে ইসি তাদের শুনানি করার সিদ্ধান্ত দেয়। একই সঙ্গে দু’পক্ষের কাছ থেকেই প্রয়োজনীয় দলিলাদি নেয়।

এক্ষেত্রে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ড. ফরহাদই প্রথম ইসির কাছে ‘আম’ প্রতীক দাবি করেন। ফলে বিরোধটি আমলে নেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর বিরোধ মিমাংসায় গত ১৫ এপ্রিল দু’পক্ষের শুনানির দিন নির্ধারণ করে সংস্থাটি। তবে ওই সময় নিলু শুনানিতে এলেও ফরহাদ সময় চেয়ে আবেদন জানান। পরবর্তীতে ২৫ এপ্রিল তাকে শুনানির জন্য সময় দেওয়া হয়।

দু’পক্ষের শুনানির পর তাদের দাখিল করা দলিলাদি যাচাই করে নির্বাচন কমিশন নিলুকেই ‘আম’ প্রতীক ব্যবহারের সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান ইসি’র সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা রুমান মাহবুব। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত জানিয়ে নিলুকে চিঠি দেওয়া হবে।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ড. ফরহাদকে মহাসচিব পদ থেকে বহিস্কার করে এনপিপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। কিন্তু সম্প্রতি তিনি নিজেকে দলটির কর্ণধার দাবি করে ‘আম’ প্রতীক চায়।  

ইসি কর্মকর্তারা জানান, দু’পক্ষের দলিলাদি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দু’পক্ষই দলের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেছে। কেননা, দলটির গঠনতন্ত্রে পরপর দু’বারের বেশি সভাপতি ও মহাসচিব পদে থাকার বিধান নেই। কিন্তু নিলু ও ফরহাদ দু’জনই দু’বার সভাপতি ও মহাসচিব পদে ছিলেন।

তবে ফরহাদ ইসিতে অভিযোগ দায়েরের এক বছর আগেই দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ওই বিধানটি তুলে দেন নিলু। তাই দু’বারের বেশি সভাপতি পদে থাকতে তার আর বাধা নেই।

শেখ শওকত হোসেন নিলু বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পোস্টার ছাপানোর অভিযোগে ড. ফরহাদকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিলো ২০১৪ সালের ১৮ জুলাই। এরপর একই বছরের ২২ অক্টোবর দলের কাউন্সিল করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এর প্রায় দেড় বছর পর তিনি ইসিতে বিরোধ উত্থাপন করেছেন। অথচ এ কমিটির মাধ্যমে আমরা বেশ কয়েকটি নির্বাচনেও অংশ নিয়েছি।

তিনি বলেন, এনপিপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৫১ জন। কিন্তু ড. ফরহাদ ইসিতে যে কমিটি জমা দিয়েছেন, তাতে ২১ জনের নাম দিয়েছেন। যেখানে ১৪ জনই ভূয়া। এমনকি অন্য দল করেন, এমন নেতাকেও তিনি এনপিপি’র সদস্য হিসেবে দেখিয়েছেন। আর নিলু পক্ষেই রয়েছেন অবশিষ্টরা।

নিলু আরো বলেন, এনপিপি’র নির্বাহী কমিটি তাকে (ফারহাদ) বহিস্কার করেছে। এজন্য তিনি এখন এনপিপি’র কেউ নন।

সম্প্রতি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের ‘মশাল’ প্রতীক নিয়েও বিরোধ উত্থাপিত হলে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন অংশটির পক্ষেই রায় দেয় ইসি। যদিও সে সিদ্ধান্ত বাতিল করতে অপর পক্ষের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া ও কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দীন খান বাদল ইসিকে উকিল নোটিশ দিয়েছেন।

বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪০টি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৬
ইইউডি/এএসআর

**
‘আম’ নিয়ে শুনানি: নিলুর পাল্লা ভারী!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।