ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার পতনে আন্তর্জাতিক মহলে ষড়যন্ত্র চলছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৬
সরকার পতনে আন্তর্জাতিক মহলে ষড়যন্ত্র চলছে ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: একাত্তরের ঘাতকরা আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে আঁতাত করে শেখ হাসিনা সরকারকে পতনের মাধ্যমে চলামান যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করতে চায়, আর এই মহলের সঙ্গে জামায়াত-বিএনপি জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

শনিবার (২৮ মে) দুপুরে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘আব্দুল কাদের মোল্লা: যুদ্ধাপরাধ, বিচার ও ফাঁসি’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। জামায়াত-বিএনপি বা একাত্তরের ঘাতকরা আজকেও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। যে কোনো মূল্যে দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারা।
 
যে মহলটি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও শেখ হাসিনাকে পছন্দ করে না তারাই মোসাদের সঙ্গে ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারী মহলের সঙ্গে বৈঠক করে মত দিয়ে তিনি বলেন, মোসাদের সঙ্গে আঁতাত করে তারাই সরকারকে সরাতে ষড়যন্ত্র করছে। এই সব কিছুর পেছনে একাত্তরের ঘাতকরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।

 
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চক্রান্তকারীরা চায়- যে কোনো মূল্যে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করতে।
 
‘আব্দুল কাদের মোল্লা: যুদ্ধাপরাধ, বিচার ও ফাঁসি’ বইটি প্রকাশের মাধ্যমে নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাস জানার জন্য একটি ভালো উদ্যোগ এই বইয়ের প্রকাশ। আরও যে সব যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হয়েছে তাদের বিচার নিয়ে বই প্রকাশ হবে বলেও আশা প্রকাশ করছি।
 
এদিকে, বইটির সমালোচনা করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, বইটিতে লেখা হয়েছে গণজাগরণের কারণে কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়েছে, এটি জামায়াতের কথা। ফাঁসি হয়েছে আইসিটি অ্যাক্ট সংশোধনের মাধ্যমে।
 
‘এছাড়া বইটিতে জাহানারা ইমামের নাম উল্লেখ করা হয়নি, কবি সুফিয়া কামালের তদন্ত কমিশনেরও উল্লেখ নেই’। শুধু তাই নয় নাগরিক আন্দোলন সম্পর্কেও বলা হয়নি উল্লেখ করে শাহরিয়ার কবির বলেন, বইটির দ্বিতীয় সংস্করণে এসব বাদ পড়া বিষয়গুলো উল্লেখ করলে এর গুরুত্ব আরও বাড়বে।
 
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, বইটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে কাজ করবে। তবে এর আরও কিছু তথ্য যুক্ত না করলে লেখকরা দায়বদ্ধ হয়ে থাকবেন। তবে এটি একটি সাধু উদ্যোগ।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, এই ধরনের বই লিখতে গেলে অনেক সাহসের দরকার হয়। লেখকরা তা দেখিয়েছেন। এই ধরনের বইয়ের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের রায় ও দলিল প্রমাণ জাতির কাছে সহজে পৌঁছে যাবে।
 
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ড. এম এ হাসান, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান ও সমন্বয়ক সানাউল হক প্রমুখ।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন কাদের মোল্লার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম সাক্ষী মোমেনা আক্তার।

পারিজাত প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটির লেখক সৈয়দ জাহিদ হাসান ও সোনিয়া হক। ৩১২ পৃষ্ঠার বইটিতে পাঁচটি অধ্যায় রয়েছে। মূল্য ৮০০ টাকা।

***কাদের মোল্লার যুদ্ধাপরাধ ও ফাঁসি নিয়ে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৬
টিএইচ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।