ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সমাবেশের অনুমতি মিলবে, আশাবাদ ফখরুলের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৬
সমাবেশের অনুমতি মিলবে, আশাবাদ ফখরুলের

ঢাকা: স্বৈরাচারী মনোভাব থেকে সরে এসে সরকার বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  
 
বুধবার (০২ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৃহত্তর ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলার যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 
 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনটিতে বাংলাদেশের জনগণ ও দেশপ্রেমিক সৈনিকরা একাত্ম হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতাকে রক্ষা করার বিপ্লবে অংশ নিয়েছিলেন। এ দিনটিতে নতুন করে বাংলাদেশের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনগণ শপথ গ্রহণ করেছিল।
 
তিনি বলেন, এ দিনটির উপর ভিত্তি করে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান তার কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করেন। আমরা আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সক্ষম হই। তাই এ দিনটি আমাদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
 
দিনটা যথাযোগ্য মর্যাদায় বিএনপি পালন করতে চায় উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এ দিনটা উপলক্ষে আমরা সারা দেশে কর্মসূচি দিয়েছি। আলোচনা সভা সমাবেশের মাধ্যমে দিনটিকে আমরা স্মরণ করতে চাই।
  
ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি জনসভার আয়োজন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি অনুমতি পেয়ে যাব। সেই সঙ্গে আমরা এটাও আশা করি, কাউন্সিলে তারা গণতন্ত্রের যে কথা উচ্চারণ করেছেন সেটাকে সম্মান দেখানোর জন্যই আমাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করবে না।
  
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের কথা- আওয়ামী লীগের নেতারা ইতোমধ্যে যে কথাগুলো বলেছেন তাতে এটাই প্রমাণ হয়, তাদের ভাষা স্বৈরাচারি ভাষা। তারা একদলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতেই রাজনীতি করছে। তারপরও আমরা আশাবাদী, স্বৈরাচারী মনোভাব থেকে সরে এসে সমাবেশ করার অনুমতি দেবে।  
 
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান  আব্দুল মান্নান, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, তৈমুর আলম খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মোহম্মদ সালাহউদ্দিন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।  
  
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৬
এজেড/টিআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।