ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘খালেদার বক্তব্য চর্বিত চর্বণ, অন্তঃসারশূন্য’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৬
‘খালেদার বক্তব্য চর্বিত চর্বণ, অন্তঃসারশূন্য’

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে চর্বিত চর্বণ ও অন্তঃসারশূন্য বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে চর্বিত চর্বণ ও অন্তঃসারশূন্য বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (নভেম্বর ১৮) বিকেলে হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

খালেদার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে দলের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৪৫ মিনিট ধরে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে নতুন কিছু নেই। তার বক্তব্য অন্তঃসারশূন্য ।

এ বক্তব্য দিয়ে খালেদা জিয়া প্রমাণ করেছেন জনগণের প্রতি তিনি আস্থাশীল নন। নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠনে যা করার তাই করবেন।

উল্লেখ্য, হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে অবিলম্বে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান বিএনপি নেত্রী।

খালেদা জিয়ার সংলাপের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা নিয়ে বসার কোনো প্রয়োজন নেই। অন্য বিষয়ে প্রয়োজন হলে দেখা যাবে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কাকে নিয়ে বসবেন, কি বসবেন না সেটা রাষ্ট্রপতির বিষয়, এটা আমাদের বিষয় না। নির্বাচন কমিশন গঠন সংবিধানের বিষয়, রাষ্ট্রপতির বিষয়।

এছাড়া খালেদা জিয়ার সংলাপের প্রস্তাব হাস্যকর মন্তব্য করে কাদের বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের জন্য খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন। তখন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে চরম অসম্মান করেছিলেন। তার ছোট ছেলে মারা যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী দেখা করতে গেলে খালেদা জিয়া দরজা বন্ধ করে দেন। এ সব করে তিনি সংলাপের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধান রাষ্ট্রপতির উপর সকল কর্তৃত্ব অর্পন করেছে। সংবিধানের সপ্তম ভাগে ১১৮ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। গত ২০১২ সালেও রাষ্ট্রপতি সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন। অতীতে এতো গণতান্ত্রিক ও আধুনিক প্রক্রিয়া কখনও কোনো সরকার অনুসরণ করেনি। খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন তার মাধ্যমে তিনি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অবজ্ঞা করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে কোনো ফরমুলা দেওয়ার আগে খালেদা জিয়াকে যুদ্ধারাধীদের সঙ্গে জোট করা, তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা, আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে হবে।

তিনি প্রশ্ন করে বলেন, আজ খালেদা জিয়া ভাল ভাল কথা বলছেন, মাগুরার উপ-নির্বাচনের সময়, ঢাকা-১০, মিরপুর উপ-নির্বাচনের সময়, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের সময় তার এই ভাল ভাল কথা কোথায় ছিলো।

আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক,  আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৬
এসকে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।