ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নাসিক নির্বাচন

‘সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে বাড়ছে আশঙ্কা-অস্বস্তি’

পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
‘সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে বাড়ছে আশঙ্কা-অস্বস্তি’ রুহুল ক‌বির রিজভী আহমেদ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে ততই মানুষের মাঝে এক ধরণের আশঙ্কা ও অস্বস্তি ঘনীভ‍ূত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে ততই মানুষের মাঝে এক ধরণের আশঙ্কা ও অস্বস্তি ঘনীভ‍ূত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদেরকে ভয়ভীতি দেখানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে উৎকন্ঠিত। মানুষ নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে এমন পরিবেশের নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জবাসীর একটাই প্রশ্ন- তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন কী না। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন বসানো থেকে শুরু করে নির্ভয়ে ভোট দেয়ার নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের পরিবর্তে প্রশাসনে দলবাজ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে নির্বাচনী কাজে। ভোট নেয়ার জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে সরকারদলীয় ক্যাডারদের।

রিজভী বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে-ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডারদের প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে একসময়ে ছাত্রলীগ করা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নাসিক নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কী না এই প্রশ্নটি এখন মানুষের মুখে মুখে। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে দলবাজ কর্মকর্তাদের নির্বাচনী কাজ থেকে বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ প্রশাসন সাজানোর আহবান জানালেও নির্বাচন কমিশন সেটিকে আমলে নেয়নি। নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের যৌক্তিক দাবিকে সিইসি উড়িয়ে দিয়েছেন। সন্ত্রাসকবলিত নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের হাতে যে বিশাল বৈধ-অবৈধ অস্ত্রের ভান্ডার রয়েছে তা উদ্ধার কিংবা জমা নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি নির্বাচন কমিশন। এমনি এক বিরূপ পরিবেশে কীভাবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সেটি নিয়ে জনমনে যে অনিশ্চয়তার জন্ম হয়েছে সেটি কোনভাবেই দুরীভূত হচ্ছে না। কারণ আওয়ামী লীগ ও তাদের পছন্দসই নির্বাচন কমিশনের অধীনে পূর্বের সকল নির্বাচন হয়েছে রক্ত আর লাশের ওপর।

তিনি বলেন, ভোটারবিহীন সরকারের অধীনে বিগত সকল নির্বাচনে ভোট ডাকাতি, ব্যালট পেপার ছিনতাই, ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি, ভোটারদেরকে ভোট দেওয়ায় বাধা, বিরোধী দলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ভোটকেন্দ্রগুলোতে রক্তাক্ত খুনের উৎসব চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান নাসিক নির্বাচনে সেটিরই প্রতিফলন ঘটবে কী না তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দানা বাঁধছে।

আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র পক্ষ থেকে আবারো নাসিক নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট দেওয়ার নিশ্চয়তার জন্য আবারো সেনাবাহিনী মোতায়েনের জোর দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।