ঢাকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের অষ্টম কংগ্রেস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যে যতো কথাই বলুক, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সমস্ত দুনিয়ায় নির্বাচিত সরকারের অধীনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, বাংলাদেশেও তাই হবে। কারণ ইয়াজ উদ্দিন আহমেদকে জোর করে রাষ্ট্রপ্রতি বানিয়ে বিএনপি প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করেছিল।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, সাম্যবাদী দলের পলিট ব্যুরোর সদস্য শহিদুল ইসলাম ও এম এ গণি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপ্রতির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ১৪দল মেনে নেবে জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সব দলের সঙ্গে সংলাপের পর নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপ্রতি যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা সেটাই মেনে নেব। রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১১৮ ধারার ক্ষমতাবলে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।
ভালো কাজকে বিতর্কিত করাই বিএনপির কাজ এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর এ সদস্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে বিভিন্ন ভালো কাজ হচ্ছে। সেই সব কাজ নিয়ে বিএনপি বিতর্কিত করছে। সরকারের সব অর্জনকে বিতর্কিত করাই যেন খালেদা জিয়ার প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবাই, এমনকি পরাজিত প্রার্থীও বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তারপরেও বিএনপি একের পর এক বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। আসলে যে কোনো ভালো অর্জনকে বিতর্কিত করাই বিএনপির অভ্যাস। বাংলাদেশের সব ভালো অর্জনকে তারা বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। বিএনপি ৭১’র পরাজিত শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকেও বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
এমএন/এসএইচ