ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘ভেতরে’ ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ করেছেন তার তথ্য প্রমাণ দিতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশে বিদেশে সবাই এই নির্বাচনকে অবাধ শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমণ্ডির একটি কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভার প্রস্তুতি হিসেবে এ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতা সাবেক আইনমন্ত্রী আরেক নালিশ করেছেন। তিনি বলেছেন জেলা পরিষদ নির্বাচন নাকি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। এর পর মহাসচিব ফখরুল সাহেবও সুর মিলিয়েছেন।
আমি বলতে চাই এখন আপনারা সংবিধানের কথা শোনাচ্ছেন। কোন সংবিধানের বলে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন, আমরা জানতে চাই। তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন সায়েম, তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে ক্ষমতা নিয়ে রাষ্ট্রপতি ও সামরিক আইন প্রশাসক হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান কোন সংবিধানের বদৌলতে। সংবিধানের কথা বলবেন না। আপনারাই সংবিধান রক্তাক্ত ও পদদলিত করেছেন। আপনাদের মুখে সংবিধানের কথা ভুতের মুখে রাম নাম শোনার মতো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্যরা রাষ্ট্রপতিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদেরও জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। সংবিধান অনুযায়ীই এই নির্বাচন হয়েছে।
আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে একটি ঐতিহাসিক জনসভা করা হবে বলে ওবায়দুল কাদের জানান।
এ যৌথ সভায় ঢাকা জেলা ও ঢাকার পাশ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলা, মহানগর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এ যৌথ সভায় কেন্দ্রীয় নেতার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন খসরু, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল হক, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৬
এসকে/পিসি/আরআই