নোয়াখালী: নোয়াখালী জেলা বিএনপি’র সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অতন্ত ২৫ জন আহত হয়েছে। এসময় সম্মেলন স্থগিত করা হয়।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক আইনমন্ত্রী ও বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ সম্মেলন স্থগিত করেন।
আহতরা হলেন- নোয়াখালী শহর ছাত্রদলের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ চৌধুরী চয়ন, শহর যুবদলের সহ সভাপতি ভিপি পলাশ, শহর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামু, সাহাব উদ্দিন, কামরুল ইসলামসহ ২৫ জন। তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৪টার দিকে নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা বিএনপি’র সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
বক্তব্য চলাকালে বাইরে হট্টগোল শুরু হয়। এসময় জেলা বিএনপি’র বর্তমান সভাপতি মো. শাহজাহান সম্মেলনের সভাপতি প্রার্থী হারুনুর রশিদকে সর্তক করে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।
এরই জের ধরে হারুনুর রশিদের সমর্থক ও অপর সভাপতি প্রার্থী মাহবুব আলমগীর আলোর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে অতিথিরা মঞ্চ ত্যাগ করেন। এরপর দু’পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা শহরের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তারা ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি যেনো জেলা বিএনপি’র সভাপতি হতে না পারি সেজন্য আমার প্রতিপক্ষ সভাপতি প্রার্থী মাহবুব আলমগীর আলোর সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা যুবদলের সভাপতি ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি প্রার্থী মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, আমার সমর্থকরা আমার নামে বাইরে স্লোগান দেওয়ায় প্রতিপক্ষ হারুনুর রশিদের সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বতর্মানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পাশাপাশি শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬
এজি