শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ডিএনসিসি মার্কেটের ব্যবসায়ীসহ সব মহলের দাবিকে পাশ কাটিয়ে এবং কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বললেন-আগুন লাগার ঘটনা নাশকতা নয়, এটি একটি দুর্ঘটনা, পরে তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন।
কোনো ঘটনা ঘটলেই ক্ষমতাসীনদের আগাম মন্তব্য’র মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত বাধাগ্রস্ত করা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারা অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেন। ’
রিজভী বলেন, ‘মূলত: নিজেদের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য নাশকতা, খুন, জখমের আশ্রয় নেয় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। তাদের এই সহিংস অপকর্ম ঢাকতে গিয়ে ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই কোনো রকম তদন্ত ছাড়া বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপান। মনে হয়-রক্তাক্ত অপকর্মের ঘটনা ঘটানো হবে বলেই তারা আগাম বিবৃতি প্রস্তুত করে রাখেন। ’
‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস পালনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ সফল করতে বিএনপি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানান রিজভী।
তিনি বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে গণপূর্ত বিভাগসহ পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমাবেশের অনুমতি মেলেনি। সরকারি দল ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সভা-সমাবেশ করলেও বিরোধী দলের বেলায় যত বিপত্তি। ’
মূলত: সরকার বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেড়ে নিয়ে একদলীয় দেশে পরিণত করেছে। বিএনপি’র মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের যেকোনো অনুষ্ঠান সার্বিকভাবে সফল করতে হলে কমপক্ষে দু’-তিন আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজন হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, বড় কোনো সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সরকারের অনুমতি পাওয়ার নজির আছে। ’ বলেন রিজভী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এজেড/পিসি