ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আপনার নেত্রীকে পদত্যাগের পরামর্শ দিন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
আপনার নেত্রীকে পদত্যাগের পরামর্শ দিন

ঢাকা: অযোগ্য নেতৃত্ব ও দল পরিচালনার ব্যর্থতার দায়ভারের জন্য বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে দল থেকে পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়ার জন্য বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের এক বিবৃতির জবাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে হাছান মাহমুদ এ অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন কেবল বাংলাদেশের নেত্রী নন, তিনি বিশ্বস্বীকৃত বিশ্বনেতা।

তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে যে পাঁচটি দেশ উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ তার মধ্যে পঞ্চম। শেখ হাসিনা তার দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছেন।  

হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে বিএনপি এখন মুমূর্ষু রোগীর মতো মুখ থুবড়ে আছে। খালেদা জিয়ার নির্বাচনে না আসার ভুল সিদ্ধান্ত, পেট্রোলবোমার রাজনীতির কারণে বিএনপি এখন একটি জনবিচ্ছিন্ন দল। তাই রিজভী আহমেদকে বলবো অযথা সরকারের সমালোচনা না করে বিএনপিকে নিয়ে চিন্তা করুন। আপনাদের নেত্রীর কারণেই আপনাদের দলের এ অবস্থা। তাই বিএনপিকে বাঁচাতে খালেদা জিয়াকে বিএনপি থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিন।

হাছান মাহমুদ তার বিবৃতিতে বলেন, গত এক দশকের মধ্যে এবারই কোনো ধরনের যানজট ও রাস্তাঘাটে ভোগান্তি ছাড়া জনগণ পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যেতে পেরেছেন। সরকার ও যোগাযোগ মন্ত্রী রমজান মাসের শুরু থেকেই ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। সাধারণ মানুষের যেন আসা-যাওয়ার পথে কোনোপ্রকার অসুবিধা না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকতাদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি কখনোই মানুষের দুঃখ-দুর্দশার পাশে দাঁড়ায় না। উল্টো তা নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করে। হাওর অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট বন্যার্ত এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু'বার গেছেন এবং ত্রাণ বিতরণ করেছেন। রিকশায় চড়ে মানুষের দুর্দশার কথা শুনেছেন। অথচ বিএনপি নেত্রীকে একবারের জন্য ও সেখানে দেখা যায়নি।

উপরন্তু তিনি এবং তার দলের নেতারা ঢাকায় বসে সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সমালোচনা করেছেন, ত্রাণ নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন।

চট্টগ্রামে অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট পাহাড় ধসের প্রথম দিন থেকেই আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। ধসের পরদিন সকালেই ত্রাণমন্ত্রী আক্রান্ত এলাকায় ছুটে গেছেন, ত্রাণ বিতরণ করেছেন। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রথম থেকেই দিনরাত মানুষের পাশে থেকেছেন।  

কিন্তু বিএনপির কেন্দ্রীয় তো দূরের কথা চট্টগ্রামের স্থানীয় কোনো নেতাকর্মীকে আক্রান্ত এলাকায় যেতে দেখা যায়নি। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি মানুষের পাশে তো দাঁড়ায় না, উল্টো তারা মানুষের দুর্দশার কারণ। বিএনপি মানুষকে জিম্মি করে, অবরুদ্ধ করে ক্ষমতায় যেতে চায়।

আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ- ভারত, ব্রিটেন, জাপানের মতো বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে, নির্বাচনের আগে যে সরকার ছিলো তার অধীনে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এবং নির্বাচনকালীন সে সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
পিআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।