ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ’লীগ ক্ষমতায় থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৭
আ’লীগ ক্ষমতায় থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে সভায় বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের আরও এক টার্ম ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একইসঙ্গে ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে উদযাপন করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

শনিবার (৮ জুলাই) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন: ‘আ’লীগ সবসময় নির্বাচনে বিশ্বাসী’
দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের প্রায় সব সদস্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে। অবশ্যই আমাদের সামনে লক্ষ্য এই সুবর্ণজয়ন্তী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে উদযাপন করবে। ’ 

‘২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম-শতবার্ষিকী আমরা উদযাপন করবো। আমি চাই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে এই জন্ম-শতবার্ষিকী উদযাপন করবে। তখন বাংলাদেশ ঠিকই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত থাকবে। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ যেটা আমরা শুরু করেছি, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসতে পেরেছি বলে সেটা আমরা করতে পেরেছি। যে বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলো নিয়েছি, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে আমাদের আরও এক টার্ম প্রয়োজন। ’

সরকারের ধারাবাহিকতার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একটানা আট বছর ক্ষমতায় আছি বলে সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই আজকে উন্নয়নটা শক্তিশালী হচ্ছে, জনগণের কাছে যাচ্ছে। জনগণ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে। ’

‘সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়নের ফসল জনগণ পায় না। ’

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মনে করি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এদেশের জনগণের উন্নয়নটা হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের উন্নয়ন করে সেটা প্রমাণিত। বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করবো, এটাই আওয়ামী লীগের নীতি। ’ 

আওয়ামী লীগের বাইরে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে মন্তব্য করে দলটির সভাপতি বলেন, ‘ওরা দেশ শাসন করতে আসে না, লুটপাট-দুর্নীতি-নির্যাতন করতে আসে। ’

‘বাংলাদেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কাকে চায়। ’

বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নষ্ট করেছেন জিয়া। তার ধারা চললো দীর্ঘ দিন।

বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার সব কিছু আওয়ামী লীগ করেছে দাবি করে তিনি বলেন, এর জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।

নির্বাচন এলেই বিএনপি নানা রকম টালবাহানা শুরু করে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে সচেতন করতে হবে। গণতান্ত্রিক সরকারের ধারাবাহিকতার প্রয়োজনীয়তার কথা বোঝাতে হবে।

নির্বাচনে জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগের ‍অধিকারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে, এটা তাদের মৌলিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। ’

‘জনগণ যাকে ভোট দিবে তারাই ক্ষমতায় আসবে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো- এই স্লোগান কিন্তু আমরাই শুরু করেছি। ’ 

সামরিক শাসকরা ক্ষমতায় টিকে থাকতে লুটপাটের জন্য এলিট শ্রেণি তৈরি করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এটা সামরিক স্বৈরশাসকদের চরিত্র। এটা আইয়ুব খানও করেছিলেন। একটা এলিট শ্রেণি তৈরি করে তাদের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা। জিয়ার পতনের পরেও দেখলাম এরশাদও একই কায়দায় নিজেকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন। ’

যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে যখন স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে, আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছিলো, মানুষের আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে, স্বাধীন ‍বাংলাদেশ যখন এগুতে শুরু করে তখনই আঘাত আসে। সপরিবারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ই প্রথম বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ অর্জন করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৭/আপডেট ২১৫৯ ঘণ্টা
এসকে/এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।