ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে মেনে নিয়েছে’ 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
‘বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে মেনে নিয়েছে’  স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা- ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা: বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে মেনে নিয়ে সংলাপে  অংশ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেনে।  

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপ করায় তাদের ধন্যবাদ জানাই।

বর্তমান ইসিকে মেনে নিয়ে তারা সংলাপে অংশ নেন। সংলাপ শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় দলের নেতাদের খুশমেজাজে দেখা যায়। যদিও বিএনপি কিছু দিন আগ পর্যন্ত ইসি ও সিইসির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলো। আমরা চাই বিএনপির এই খুশমেজাজ নির্বাচন পর্যন্ত থাকুক এবং তারা যেন নির্বাচনে অংশ নেন।  

ইসির সংলাপে বিএনপির করা দাবিগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি বলেছে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে যা সংবিধান বিরোধী। গত বারও নির্বাচন সংসদ বহাল থেকে হয়েছিল এবারও তাই হবে। বিএনপি চায় সেনা বাহিনীকে দিয়ে পুলিশ ও আনসারের কাজ করাতে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব, শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের কাজের কারণে সারা বিশ্বে প্রশংসিত। আর বিএনপি চায় নির্বাচনের সময় পুলিশ ও আনসার যে কাজ করে তা সেনাবাহিনীকে দিয়ে করাতে। আমি তাদের বলবো এসব কথা বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করবে না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের সঙ্গে সকল রাজনৈতিক দলের সংলাপ চায়। কিন্তু নির্বাচন তো সরকারের অধীনে হবে না, হবে ইসির অধীনে। নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার একজন ওসি বা টিএনওকে বদলি করার পর্যন্ত ক্ষমতা রাখে না। নির্বাচনের সময় সরকার শুধু তার রুটিন ওয়ার্ক করে। সরকারের সঙ্গে নয় সংলাপ প্রয়োজন ইসির সঙ্গে।

হাছান মাহমুদ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রসঙ্গে বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে ওআইসির ভূমিকায় আমি হতাশ। যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারের সরকার ও সেনাবাহিনীকে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে সেখানে ওআইসি চুপ। রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের ওপরে অবরোধ আরোপ করার বিষয়টিকে আমি সমর্থন করি।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিষয়ক মন্ত্রী একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রতি দিন তারা ১'শ জন রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিবেন। আমি হিসেব করে দেখিছি যে পরিমাণ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলেদেশে আছে এই ভাবে তাদের নিতে গেলে প্রায় ৩০ বছর লাগবে। আমি আন্তর্জাতিক বিশ্বে দাবি জানাব এই সব উদ্ভট চিন্তা বাধ দিয়ে মিয়ানমারকে বলুন দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন য়ারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়।

রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যু নিয়ে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা সমগ্র পৃথিবী করলেও একটি দল ও তার নেত্রী করছেন না মন্তব্য করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যু নিয়ে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করছে সমগ্র পৃথিবী। কিন্তু একটি দল (বিএনপি) ও তার নেত্রী প্রশংসা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটিই তাদের রাজনৈতিক হীনমনতার পরিচয়।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন- সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড.বলরাম পোদ্দার, ব্যারিষ্টার জাকির আহম্মদ ও এম এ করিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
এমএসি/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।