ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি পিছিয়ে ২০ নভেম্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি পিছিয়ে ২০ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ফটো)

ঢাকা: নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) মামলাটিতে চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। তিন আসামি খালেদা জিয়া, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও এ কে এম মোশাররফ হোসেনের পক্ষে তা পেছাতে সময়ের আবেদন জানানো হয়।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।

অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ওই তিন আসামির জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি এবং অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।

ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহমুদুল কবীরের আদালত আসামিপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানি পিছিয়ে দেন।

মামলাটির ১১ আসামির মধ্যে কারাগারে আটক থাকা ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়।

জামিনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন আদালতে হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন জানান।

জামিনে থাকা ০৪ আসামি সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন এবং ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া আদালতে হাজির ছিলেন।

পলাতক বাকি ০৩ আসামি হলেন- সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকো’র দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ০৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ০৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গত বছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।