এতো মানুষের ভিড় দেখা গেলেও বিজয় দিবসের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য ফুলের উপস্থিতি ততোটা ছিল না। তবে একের পর এক সম্ভাব্য প্রার্থী তাদের প্রার্থিতার কথা জানান দিতে চেষ্টার কমতি করেননি কোনো।
এদিকে আবার সাভারের পুরো সড়কপথের দুইপাশের ফুটপাতজুড়ে ছিল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পোস্টার। ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ের নেতাদের এসব পোস্টারে, ব্যানারে স্মৃতিসৗধমুখি সড়কপথটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশস্থলের রুপ নেয়। শনিবার স্মৃতিসৌধ ও আশপাশের এলাকা ঘুরে এমনটাই দেখা গেল। এরপর বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থকদের পালা। সকাল ৯টার পর থেকে পুরো স্মৃতিসৌধ ঘিরে জড়ো হতে থাকে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী-সমর্থক। তাদের কোলাহলে দর্শনার্থী ও শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা সাধারণ মানুষের প্রবেশে চরম বিঘ্ন ঘটতে থাকে। নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা ভেবে বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতে থাকা বাঁশে সাঁটানো পোস্টার জব্ধ করে নেয় পুলিশ। তবে বাঁশহীন শুধু পোস্টার নিয়ে যেতে দেয়া হয়।
তারপরও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাঁশসহ কয়েকশ পোস্টার নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে বিএনপি নেতাকর্মী সমর্থকরা। পেশায় দিনমজুর শ্রমিক এমন অনেক সমর্থকই এসব পোস্টার হাতে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিলেন।
স্মৃতিসৌধের দক্ষিণ পাশজুড়ে পুরো জায়গা দীর্ঘক্ষণ দখলে রাখে বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থকরা। তবে ভিড় মিলিয়ে যায় খালেদা চলে যাবার পরপরই। স্মৃতিসৌধের ভেতরে থেকে খালেদার গাড়ি বহরের সঙ্গে দলীয় লোকজন বেরিয়ে যাবার পর প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়ে স্মৃতিসৌধ।
স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, বিএনপির যেসব নেতাকর্মী সম্ভ্যাব্য প্রার্থীর নামাঙ্কিত পোস্টার নিয়ে এসেছেন তাদের সবাই ঢাকার আশপাশের এলাকার। ফুল নয়, নেতাদের পোস্টারই বেশি দেখা গেছে তাদের হাতে। বেশিরভাগের হাতে বিএনপি নেতা তমিজ উদ্দিন আর ডা. সালাউদ্দিনের নাম লেখা পোস্টারই বেশি ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এসএ/জেএম