ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নারায়ণগঞ্জে আ’লীগ-বিএনপির ইউনিট কমিটিগুলোর খবর নেই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
নারায়ণগঞ্জে আ’লীগ-বিএনপির ইউনিট কমিটিগুলোর খবর নেই

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির ইউনিট কমিটিগুলো গঠিত হয়নি দীর্ঘদিনেও। জেলার উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড এবং মহানগরের থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো করার উদ্যোগও নেই দু’টি দলেরই।

২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহাকে মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্য এবং ২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অন্যদিকে গত বছরের ০৯ অক্টোবর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আবদুল হাইকে সভাপতি, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সহ সভাপতি ও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আওয়ামী লীগের তিন সদস্য এবং গত ২৬ নভেম্বর ৭৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র।

তবে দীর্ঘ সময়েও মহানগরের তিনটি থানা ও ২৭টি ওয়ার্ড এবং জেলার ৫টি উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে হাত দিতে পারেনি দলটি।

সর্বশেষ গত ১৭ এপ্রিল জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেছিলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মে মাস জুড়ে মহানগরের ওয়ার্ড কমিটিগুলো গঠন করা হবে। সেটি হবে সম্মেলনের মাধ্যমে, যিনি যোগ্য তাকে নেতৃত্বে আনবে তৃণমূল।

এরপর আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে প্রথমদিকে জেলার ইউনিট কমিটিগুলো গঠনের কথা উঠলেও এখন নেতাদের আগ্রহ কম। তাই তৃণমূলের নেতা কর্মীরাও জেলার কর্মসূচিতে তেমন আসছেন না। জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার পরও আনন্দ মিছিলে দেখা যায়নি ইউনিটগুলোর পদপ্রত্যাশী কাউকে।

এদিকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। জেলার ২৬ সদস্যের কমিটিতে সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও মামুন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগরের ২৩ সদস্যের কমিটিতে আবুল কালামকে সভাপতি ও এ টি এম কামালকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

কমিটি গঠনের ১০ মাস পরেও একসঙ্গে বসতে পারেননি জেলা বিএনপির ২৬ জন। অভিযোগ রয়েছে, কর্মসূচিগুলোতে জেলার অনেক নেতাকেও জানানোই হয় না। প্রথমদিকে জেলার ৫টি উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা কমিটির প্রত্যাশায় কর্মসূচিগুলোতে এলেও এখন শুধু ফতুল্লা ও রুপগঞ্জের নেতাকর্মীদেরই দেখা যায়।

তবে কমিটি গঠনের চারমাসের মাথায় কেন্দ্রে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিয়েছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারন সম্পাদক এ টি এম কামাল। পরে কেন্দ্র থেকে সকল বলয়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি তৈরি করে ফের জমা দিতে বলা হয়।

ওয়ার্ড ও থানাগুলোর নেতারা কমিটি গঠনে মহানগর নেতাদের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ তুলে এখন আর দলীয় কর্মসূচিতে আসছেন না। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বিএনপির দলীয় কর্মসূচিগুলোতে।  

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান, ‘ওয়ার্ড কমিটিগুলো গঠনের কাজ চলছে। আমরা চাই, সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব বের হয়ে আসুক। তাই একটু বিলম্ব হচ্ছে। থানা-উপজেলা কমিটির সীমানা নিয়ে জেলার সঙ্গে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। সেগুলোর দ্রুত নিরসন করা হবে’।

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল বলেন, এখন নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক অবস্থান দেখা হচ্ছে। যিনি যোগ্য, পরিশ্রমী, দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করেন, তিনি এমনিতেই পদ পাবেন। পদের জন্য কাউকে লবিং করতে হবে না। ভেতরে ভেতরে কমিটি গঠনের কাজ চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।