রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট-২০১৭’ এর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ফেক নিউজ বা ফেব্রিকেটেড নিউজ করার মাধ্যমে একটি পক্ষ অন্যপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে ড্যামেজ করতে চায়।
আমির খসরু মাহমুদ বলেন, বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তিকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্তু এর অপব্যবহার রোধের মতো বিশেষজ্ঞও তৈরি হয়নি। তরুণদের এ সেক্টরে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছিলো তথ্য-প্রযুক্তির ফাকঁ-ফোকড় ব্যবহারের মাধ্যমে। এই রিজার্ভ লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে জলাঞ্জলি দিয়ে বিদেশের মাটিতে রক্ত-ঘাম ঝরানোর মাধ্যমে অর্জিত। তাই রিজার্ভ চুরি মানে কেবল কিছু টাকা চুরি যাওয়া নয়। এতে দেশের মানুষের প্রেস্টিজ ও প্রাইভেসিও চুরি হয়েছে।
খসরু বলেন, আগে ঢাকার ট্রাফিক অসহ্য মনে হলেও এখন সে অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে। তার মানে এই নয় যে জ্যাম বন্ধ হয়েছে। যে পরিবর্তনটা আমার মধ্যে এসেছে, তাহলো, গাড়িতে উঠলেই আমি ইন্টারনেটে আমার ইন্টারেস্টেড এরিয়াতে ঢুকে পড়ি। আমি কারো বক্তৃতা পড়ি বা দেখি। রাজনৈতিক আপডেট জেনে নেই। ব্যবসার খোঁজ-খবর করি। এক ঘণ্টা ইন্টারনেটের বাইরে থাকলে মনে হয়, পৃথিবী বোধ হয় কলাপস হয়ে গেলো। তাই প্রযুক্তিকে ভয় না পেয়ে কাজে লাগানো শিখতে হবে তরুণদের।
‘আমাদের জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশেরই বয়স ৩৫ বছরের নিচে। এরইমধ্যে আমরা ১০টি বছর নষ্ট করে ফেলেছি। হাতে আছে আর মাত্র ২০ বছর। এই সময়ের মধ্যে এই তারুণ্যকে ব্যবহার করতে না পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বলে কিছু থাকবে না। একটি নির্বাচিত সরকার যদি ক্ষমতায় না থাকে তবে এই সুযোগ কাজে লাগানো যাবে না।
অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট গোলাম মওলা রনি বলেন, আমাদের ডিজিলাইটেশন এখনো অনেকটা আর্টিফিশাল আকারেই রয়ে গেছে। এখনো ডিজিলাইটেশন মানে সরকারি কর্মকর্তা বা মন্ত্রীদের টেবিলে একটি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থাকাতে থেমে রয়েছে। এই কর্মকর্তা বা মন্ত্রীদের অনেকেই তাদের ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারেন না। যারা যতোটুকুও পারেন, তারা জানেন না তারা কোন প্রোগ্রাম ব্যবহার করছেন বা কোন সফটওয়্যার ব্যবহার হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট এর চেয়ারপার্সন রুমানা ইসলামের সভাপতিত্ব করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
আরএম/এএ