ইতোমধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়ে গেছে। তবে চায়ের কাপে চলছে এখনও যেন আলোচনার ঝড়।
এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাদ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ড মোতায়েন থাকবে। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিম মোতায়েন থাকবে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ভোলার বৃহৎ উপজেলা চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড়, আমিনাবাদ এবং নীলকমল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ১০ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২৫ এবং পুরুষ ইউপি সদস্য পদে ৭২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ তিন ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৪০ হাজার ৪৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৪৯০ এবং নারী ভোটার ১৯ হাজার ৫৩০ জন। ৩ ইউপিতে মোট কেন্দ্র ২৮টি।
জিন্নাগড় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১২ জন এবং পুরুষ সদস্য পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৭৭১। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৩৯ জন এবং নারী ভোটার ৪ হাজার ৭৩২ জন।
এখানে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে মো. হোসেন মিয়া, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে শাহ এমরান ভূঁইয়া এবং সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিলফ্যান প্রতীক নিয়ে মো. আলাউদ্দিন লড়ছেন। এখানে মোট কেন্দ্র ৯টি।
নীলকমল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৪ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৮ জন এবং পুরুষ সদস্য পদে লড়ছেন ২৪ প্রার্থী। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ২৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৪৮৮ এবং নারী ভোটার ৯ হাজার ৭৫০ জন।
এখানে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে মো. আলমগীর, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নওরেজ বাবুল, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ফারুক পাঠান এবং আনারস প্রতীক নিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইকবাল হোসেন লিখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে মোট কেন্দ্র ১০টি।
আমিনাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫ জন এবং পুরুষ সদস্য পদে ২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৪৮১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৪৩৩ এবং নারী ভোটার ৫ হাজার ৪৮ জন।
এখানে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে জামাল উদ্দিন, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আখতার উদ্দিন এবং সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবু সায়েম লড়বেন। এখানে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৯টি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ১ প্লাটুন করে র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও ২ প্লাটুন করে পুলিশ মোতায়েন করা থাকবে। এছাড়া ৩ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
আরবি/