ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে ক্ষমতাসীনরা ফায়দা নিতে চায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে ক্ষমতাসীনরা ফায়দা নিতে চায় আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন/ফাইল ছবি

ঢাকা: যারা ক্ষমতায় থাকে তারা আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ষষ্ঠ দিনের মত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে আদালতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
তিনি বলেন, এ মামলায় রাজনৈতিক গন্ধ রয়েছে।

এ মামলাটি রাজনৈতিক কালেমাযুক্ত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ মামলা দেয়া হয়েছে। ১৭ বছর পর কোন অশুভ ইঙ্গিতে প্রদীপ জেগে উঠলো। অশুভ ইঙ্গিত ছাড়া এ ধরনের মামলা হতে পারে না। এর চেয়ে অনেক কঠিন মামলা রয়েছে। আমরা হয়তো থাকবো না। ইতিহাস সাক্ষী হয়ে থাকবে। সেই মামলাগুলোর বিচার হবে।  

মাহবুব বলেন,সব এভিডেন্স (তথ্য প্রমাণ) দেখা যায় যে, এখানে একটি টাকাও তসরুপ হয়নি। এখানে খালেদা জিয়াকে যুক্ত করা হয়েছে।  

যেসব তথ্যের উপর ভিত্তি করে মামলা হয়েছে তা একটা ঘষামাজা তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানে কোনো স্বাক্ষর নাই। অ্যাকাউন্ট খোলার ফাইলে স্বাক্ষর নাই। অথচ একটি ঘষামাজা তথ্যের উপর নির্ভর করে একটা ক্রিমিনাল কেস হচ্ছে। তাতে আমাকে সাজা দিতে হবে। আজকে সারা দেশের মানুষ জানে এ মামলাটা কী, কেন হয়েছে। সুতরাং এ ধরনের মামলা হতে পারেনা।  

তিনি আরও বলেন, এখনো অনেক বিচারক আছেন। যারা আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে ন্যায় বিচার করে। তারা ইতিহাস হয়ে থাকবেন। যদি বিচারক ন্যায় বিচার করেন তিনি ইতিহাসে নজির হয়ে থাকতে পারেন। অন্যথায় কলঙ্কিতও হতে পারেন।  

এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সকাল ১১টা ৫মিনিটে গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হয়ে ১১টা ৩০ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন।

বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামান ষষ্ঠ দিনের বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। যা এখনো চলমান।  

আদালত প্রাঙ্গণে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।  

**খালেদা জিয়ার পক্ষে পঞ্চম দিনের যুক্তিতর্ক চলছে
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
এএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।