ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জাতির পিতাকে হত্যার মদদদাতারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৮
জাতির পিতাকে হত্যার মদদদাতারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক-ছবি-শাকিল আহমেদ

ঢাকা: জাতির পিতাকে যারা হত্যার মদদ যুগিয়েছেন তাদের এখনও বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ‘মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশের গৌরব, রক্তক্ষরণ, সতর্কতা ও বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি প্রতিরোধ মঞ্চ।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে রাজনীতিবিদ হত্যার ইতিহাস অনেক রয়েছে। সব রাজনীতিবিদদের হত্যার ক্ষেত্রে শুধু ওই রাজনীতিবিদকেই হত্যা করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বেলায় সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। ১০ বছরের শিশু রাসেলসহ পুত্রবধূকেও ছাড় দেওয়া হয়নি। কারণ তারা জানতেন বঙ্গবন্ধু রক্তের ছিটেফোঁটা থাকলেও তা তাদের জন্য হুমকি।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক-ছবি-শাকিল আহমেদবাংলাদেশের উন্নয়নের উদাহরণ দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের ইমরান খান ৫ বছরে পাকিস্তানকে সুইজারল্যান্ড বানানোর কথা বলেছেন। কিন্তু বুদ্ধিজীবীরা বলেছেন, আপনি ১০ বছরে পাকিস্তানকে বাংলাদেশ বানান।

মন্ত্রী বলেন, আজ বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জামায়াত চেয়েছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করতে। এটা জাতির জন্য ক্রান্তিকাল এজন্য যে বাংলাদেশ আগামীতে কোন পথে চলবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি প্রতিরোধ মঞ্চের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল কামাল আজাদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা মো. এমদাদুল হক, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি প্রতিরোধ মঞ্চের সহ-সভাপতি সখিনা সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আ. ক. ম. জামাল উদ্দীন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
এইচএমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।