ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পাঁচ দাবি মানলে জাতীয় ঐক্যে স্বাগত: মোশাররফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
পাঁচ দাবি মানলে জাতীয় ঐক্যে স্বাগত: মোশাররফ নাসির উদ্দিন পিন্টু স্মৃতি সংসদ আয়োজিত আলোচনাসভায় খন্দকার মোশাররফসহ অন্য নেতাকর্মীরা

ঢাকা: বিরোধীদলের পাঁচ দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আওয়ামী লীগকে জাতীয় ঐক্যে স্বাগত জানানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়া ও হাবীব-উন-নবী খান সোহেলসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে নাসির উদ্দিন পিন্টু স্মৃতি সংসদ আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি একথা বলেন।

আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় ঐক্য কীভাবে হবে, ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যকে হাস্যকর উল্লেখ করে ড. মোশাররফ বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য।

তাদের তাড়ানোর জন্য এই সংগ্রাম, এখন যাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম তাদের নিয়ে কি ঐক্য হয়?

তিনি বলেন, যদিও এটা হাস্যকর, তারপরও বলতে চাই আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে জনগণের যে ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, সেজন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান। যদি পাঁচ দফা মেনে নিয়ে ঘোষণা দেন, তাহলে আমরা আপনাদের জাতীয় ঐক্যে স্বাগত জানাবো। এটা কথার কথা, এটা তারা পারবে না, তাদের সেই সাহস নেই।

পাঁচটি দাবির কথা আবারও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে, মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী মাঠে রাখতে হবে আর ইভিএম বাদ দিতে হবে।
 
ন্যূনতম এই পাঁচটি ইস্যুতে আজ জনগণ ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই ঐক্যের প্রতিফলন ঘটেছে মহানগর নাট্যমঞ্চে। এই ঐক্য দেখে সরকার আতঙ্কে রয়েছে। কারণ এই ঐক্যের সঙ্গে মোকাবিলা করার মানসিক শক্তি তাদের নেই। সেজন্য আজ তারা আবোল-তাবোল কথা বলছে। এই ঐক্য যদি তাদের আগামী দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাধা না হয়, তাহলে কেন তারা আবোল-তাবোল বলছে। এটাই প্রমাণ হয় যে, এই ঐক্য ও জনগণকে তারা ভয় পাচ্ছে।

গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত তিন লাখ ১৩ হাজার ১৩০ জনের নামে ৩ হাজার ৬৩৬টি মামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে ড. মোশাররফ বলেন, দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর এদেশে হতে দেওয়া হবে না। এটা জেনেই তারা খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের এমনভাবে কোণঠাসা করতে চায়, জেলে নিতে চায়, যেন আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে না পারে।

সংগঠনের সভাপতি সাইদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নিপুণ রায় চৌধুরী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।