ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গণফোরামে যোগ দিলেন সালাম, আসেননি একে খন্দকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
গণফোরামে যোগ দিলেন সালাম, আসেননি একে খন্দকার গণফোরামের সংবাদ সম্মেলনে ড.কামালসহ অন্যরা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: একুশে টেলিভিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম গণফোরামে যোগ দিয়েছেন। রোববার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের সংবাদ সম্মেলনের পরে এসে তিনি যোগ দেন। তবে একই অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রী একে খন্দকারের যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।

সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, একে খন্দকারের যোগদানের বিষয়টি আমরা অফিসিয়ালি কাউকে জানাইনি। এটা মিডিয়া কোথা থেকে নিউজ করেছে জানি না।



সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন চাই। জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দিতে পারে সেটা নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে।  

তিনি এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পরিবর্তনের দাবি জানান। বলেন, আমরা আগে থেকেই বলে আসছি তাকে সরাতে হবে। তার সঙ্গে কথা বলে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি।

সিইসির উদ্দেশে তিনি বলেন, আগে যা করেছেন ভুলে গিয়ে আজ থেকে ঠিক হয়ে যেতে পারেন।  
পুলিশকে ড. কামাল বলেন, আপনারা সরকারের বাহিনী নন, আপনারা রাষ্ট্রের- বিষয়টি মনে রেখে কাজ করবেন।

সুব্রত চৌধুরী বলেন, গণভবন, মন্ত্রীদের বাসভবনে নির্বাচনী কাজ করা হচ্ছে। এটা নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। নির্বাচনকালীন দেশের প্রশাসন ও  আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের কতৃত্বে থাকলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী আইন বহির্ভূতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিরোধীপক্ষের ওপর হামলা, মামলা, গ্রেফতার বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে।

‘এমনকি যারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন তাদের উপরের নির্দেশনায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। গ্রেফতাররা যাতে স্বল্প সময়ে জামিন পেতে না পারে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হচ্ছে। ’

তিনি বলেন, সরকারিদলের প্রার্থী ও মন্ত্রীরা দাপটের সঙ্গে ভোটারদের সামনে তাদের বক্তব্য তুলে ধরছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন প্রোটকলসহ তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে। অপরদিকে বিরোধীদলের প্রার্থীদের ঘরোয়া বৈঠকেও বাধার সৃষ্টি করছে। ওইসব সভা থেকেও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

‘আমরা অবাধ নির্বাচনের কথা আগেও বলেছি। আমরা মনে করে জনগণ হলো দেশের মালিক, সেই মালিকদের অধিকার ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। ’ 

আসন বণ্টনের বিষয়ে তিনি বলেন, ২/৩ দিনের মধ্যে এটা শেষ হয়ে যাবে। আসন বণ্টন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দূরত্বও হতে পারে, কাছেও আসতে পারে। আশা করি এটা নিয়ে সমস্যা হবে না।

আওয়ামী লীগ নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে বিএনপির একজন নেতার এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা যখন এসেছে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।