ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচনে ফের অনিশ্চয়তায় ওয়াদুদ ভূঁইয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
নির্বাচনে ফের অনিশ্চয়তায় ওয়াদুদ ভূঁইয়া আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া

খাগড়াছড়ি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে ফের অনিশ্চয়তায় পড়েছেন খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া। 

মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সকালে দুর্নীতির মামলায় সাজা স্থগিত চেয়ে ওয়াদুদ ভূঁইয়ার করা আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ায় এ অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
 
এদিকে আবেদন খারিজের খবরে হতাশ হয়ে পড়েছেন তার অনুসারী তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।

তবে তারা হাল ছাড়ছেন না। যদিওবা আপিল মূলতবি অবস্থায় সাজা স্থগিতের বিধান না থাকায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে আদালত পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছে। এদিকে আপিলের প্রক্রিয়া চলছে বলেও দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
 
এরআগে দুর্নীতির মামলায় সাজার ফলে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে কারাবন্দী ওয়াদুদ ভূঁইয়া প্রার্থী হলেও নির্বাচনে অযোগ্য হন। তখন বিএনপির মনোনয়ন পান পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সমীরণ দেওয়ান।
 
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টু জানান, হাইকোর্টে আবেদনটি খারিজ হয়ে গেলেও আপিল বিভাগ আবেদনটি ফায়সালা না করা পর্যন্ত ওয়াদুদ ভূঁইয়া নির্বাচনে অযোগ্য হচ্ছেন; এমনটা বলা যাবেনা।
 
২০০৭ সালে এক এগারোর সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং জরুরি বিধিমালা ২০০৭ এর ১৫ (ঘ) (৫) ধারায় ওয়াদুদ ভূঁইয়ার মোট ২০ বছরের কারাদণ্ড হয়। জ্ঞাত বহির্ভুত ৬ কোটি ৩৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকে সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে চট্টগ্রামের বিভাগীয় জজ আদালত উপরোক্ত ৩টি ধারায় ৩ বছর, ১০ বছর ও ৭ বছর সাজা দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে অবৈধভাবে অর্জিত টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
 
এদিকে ওয়াদুদ ভূঁইয়া নির্বাচনে অযোগ্য হলে কে হচ্ছেন খাগড়াছড়ির আসনে বিএনপির প্রার্থী? এক্ষেত্রে আলোচনায় আছেন তিনজন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যকরি সদস্য সমীরণ দেওয়ান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টু এবং ওয়াদুদ ভূঁইয়ার ভাতিজা রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ফরহাদের নাম বেশি শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে সমীরণ দেওয়ান ২০০৮ সালে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন। তিনজনই দলের মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
 
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবু ইউছুফ ভূঁইয়া বলেন, ওয়াদুদ ভূঁইয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা স্বাভাবিকভাবেই হতাশ। কী হবে তাও বলতে পারছিনা। এখন পরবর্তিতে কে আসবে সেটি তার (ওয়াদুদ) উপর নির্ভর করছে।
 
২০০১ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর ওয়াদুদ ভূঁইয়া নানা কর্মকাণ্ডের কারণে সমালোচিত হন। পরে এক এগারোর সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তাকে আটক করে যৌথবাহিনী। পরে একই বছরের ২১ মার্চ তার বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১১। ওই মামলায় প্রায় তিন বছর সাজাও ভোগ করেন। অবশ্য ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে তিনি ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
এডি/এসএম/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।