ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কিছু করতে পারছে না বলেই সিইসি বিব্রত: বিএনপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
কিছু করতে পারছে না বলেই সিইসি বিব্রত: বিএনপি বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান

ঢাকা: নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দু’জন নিহত এবং বিএনপি মহাসচিবের গাড়ি বহরে হামলায় ঘটনায় বিব্রতবোধ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। এর পরিপ্রক্ষিতে বিএনপির বক্তব্য, কিছু করতে পারছেন না বলেই সিইসি বিব্রতবোধ করছেন।

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে।

সাক্ষাৎ শেষে সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মনে করি তিনি (সিইসি) অসহায়।

তিনি বিব্রতবোধ করছেন এটা সত্যি। কারণ তিনি কিছুই করতে পারছেন না। তবুও আমরা আশা রাখি সিইসি যেহেতু এবার একটি সুযোগ পেয়েছেন, তিনি যদি সঠিকভাবে পদক্ষেপ নেন তাহলে কিন্তু আমরা এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হিসেবে প্রমাণ করতে পারবো।  

এর আগে সকালে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিংয়ে সিইসি মঙ্গলবারের দু’টি ঘটনাকে উল্লেখ করে বলেছিলেন- আমরা বিব্রত, মর্মাহত হয়েছি

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ১০ তারিখ (সোমবার) থেকে প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রচারণার পরপরই আমাদের মহাসচিবের গাড়ি বহরে আক্রমণ করা হয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদের প্রচারণায় বারবার হামলা করা হচ্ছে। মঈন খানের এলাকায় হামলা চালানো হচ্ছে। পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী ও যুবলীগ মিলে এই হামলা করছে। যারা জামিনে আছেন তাদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে। যারা গ্রেফতার হচ্ছেন তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না। সকালে ভাটারা থানার একজন কর্মীকে পুলিশ ধাওয়া করেছে। এমন ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে। নাটোরে জামিনে থাকা সত্ত্বেও বিএনপি নেতা দুলুকে আটক করা হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, তারা চাইছে আমরা যেন নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে না পারি, নির্বাচন যেন না করতে পারি। তারা একতরফাভাবে নির্বাচন করতে পারে। সে কারণে এখন ভয়ভীতি, হামলা, মামলাসহ বিভিন্নভাবে আমাদের হয়রানি করছে। এবং প্রার্থীদের উপর বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ করা হচ্ছে। এই ঘটনাগুলো জানাতে আজ আমরা এসেছি। কারণ সিইসি বলেছিলেন আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেবো। সবাই সমান সুযোগ পাবে।  

সেলিমা রহমান বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা এখন পলাতক। আমরা বলতে পারছি না আমরা সব জায়গায় নির্বাচনের জন্য এজেন্ট খুঁজে পাবো কিনা। কারণ পুলিশের ভয়ে অনেকে পলাতক রয়েছেন। এই বিষয়গুলো আমরা কমিশনকে জানালাম। তফসিলের পর গ্রেফতার হবে না বললেও এখন প্রতিনিয়ত গ্রেফতার হচ্ছে। এবং অজ্ঞাতনামা দিয়ে অনেক নেতাকর্মীকে আটক করা হচ্ছে। এই অজ্ঞাতনামা জানতে চাইলে পুলিশ বলছে তাদের নামে আগে থেকে মামলা ছিল। তারা নিজেরাই এগুলো করছে।

বিএনপির প্রতিনিধি দলে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, আব্দুল কাইয়ুম, ড্যাবের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।