ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ হেলালের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ হেলালের সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন খুলনা-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নির্বাচনী কাজে বাধা, হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন খুলনা-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

এ সময় ছাত্রদলের সাবেক এ কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, প্রতিনিয়ত বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা হামলা চালাচ্ছে।

পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে তেরখাদা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন, নন্দনপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো. নাসির, আনন্দনগর বাজারে ছাত্রদলকর্মী আমিনুল ইসলাম, নুর ইসলাম, মাসুদ, শফিককে।

হেলাল বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর রাতে আমার উপর হামলা চালানো হয়। ওইদিন রাতে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সেনহাটি থেকে তেরখাদার মোকামপুরে বাজারে যাওয়ার পথে সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান মহাসীনের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন, যুবদল নেতা আজিজুল ইসলামসহ ৭/৮ জন আহত হন।

তিনি বলেন, আমাদের উপর যতোই জুলুম নির্যাতন করা হোক না কেন, আমরা নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে যাবো না।

সাংবাদিক সম্মেলনে হেলাল বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ এখন নেই। একদিকে শাসক দলের প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে, অন্যদিকে গায়েবি মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি ছাড়া করা হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার-জুলুম-নির্যাতন। এ অবস্থায় কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন এমন অভিযোগ করে হেলাল বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকেই শাসক দলীয় প্রার্থী (সংসদ সদস্য) মহিলা সমাবেশ ডেকে কম্বল বিতরণ করছেন। ভিজিডি কার্ড, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতার প্রলোভোন দিচ্ছেন, যা আচরণবিধি পরিপন্থী।

গায়েবি মামলায় নেতাকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ করে তিনি বলেন, গত ১৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত রূপসা থানায় ৪টি, তেরখাদায় ২টি ও দিঘলিয়ায় একটি গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে। যা নির্বাচন প্রস্তুতির কাজে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়, নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হলেও সরকারের ইচ্ছা পূরণে নিয়োজিত রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান, রূপসা থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মোল্লা খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
এমআরএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।