তিনি বলেছেন, দেশজুড়ে ধানের শীষের প্রচারণা ও মিছিলের ছবি তুলে সেখান থেকে বেছে বেছে নেতা-কর্মীদের বাসা থেকে তাদের আটক করা হচ্ছে। বাজার, দোকান-পাট, এমনকি আত্মীয়স্বজনের বাসা যেখানে পেরেছে সেখান থেকেই তাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী শত শত সহিংস ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী ক্যাডারদের দ্বারা অথবা পুলিশ বা গোয়েন্দা পুলিশ নিজেরাই সন্ত্রাসী কায়দায় ঐক্যফ্রন্টের গণসংযোগে হামলা করছে। বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে তারা।
রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীদের বলতে চাই- সব নোংরা অপপ্রচার বন্ধ করুন। যত নাটকই করুন, আর কোনো লাভ হবে না। আপনারা প্রতারণা, প্রহসন, মিথ্যাচার করতে করতে সব বিশ্বাস চিরতরে হারিয়ে ফেলেছেন। আপনারা জনগণের চোখে এখন গণশত্রু।
‘গত ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর হতে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ২০২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় গায়েবী ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে ৮০৬টি। হামলা করা হয়েছে ২ হাজার ৭১৬ বার। আহত হয়েছে ১২ হাজার ৫৮৮ জনকে আর মৃতের সংখ্যা ৮। ’
বিএনপির মুখপাত্র রিজভী বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় ধানের শীষের প্রার্থী, বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
এমএইচ/এমএ