রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, ভোটাররা দুই উপায়ে ভোট থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা-৬ আসনের প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। অনেক এজেন্টকে মারধর করা হয়েছে। আহতাবস্থায় ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে বাধ্য করা হয়েছে। কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল বাহিনীর মাধ্যমে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশের সহায়তায় ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। সাধারণ ভোটারদের লাইন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসব কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বেশি (যেমন- কবি নজরুল সরকারি কলেজ কেন্দ্র- ১ ও ২, সেন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয়, কে এল জুবিলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র-১, ২ ও ৩) সেখানে ইভিএম মেশিন নষ্ট বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশিদের নেতৃত্বে এ কর্মযজ্ঞ চালানো হচ্ছে।
ইস্টবেঙ্গল ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে কাজী ফিরোজ রশিদের লোকজন ইভিএম মেশিন ভেঙে ফেলেছে। সর্বমোট ৩৭ টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল বাহিনী সাধারণ ভোটারদের হুমকি দিয়েছে বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এমএএম/ওএইচ/