রোববার (৩০ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্বাচন পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে ১২ জেলায় আমাদের ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটিয়েছে।
ভোটারদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ ছিল আশাব্যঞ্জক। সর্বস্তরের জনগণ ভোটউৎসবে অংশগ্রহণ করায় এ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে।
‘সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী এবং দেশের জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি’।
নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত রয়েছি জানিয়ে এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, গণমাধ্যম থেকে আমরা এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাচ্ছি তাতে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করবে।
বিজয় মিছিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে আবদুর রহমান বলেন, এখনো ফলাফল আসেনি। বিজয় মিছিল করার এ রকম কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। যদি নৌকা বিজয়ী হয় তাহলে ফলাফল জনগণকে উৎসর্গ করবো।
গত ৪৭ বছরে এমন নির্বাচন দেখেননি বলে ড. কামাল হোসেন যে অভিযোগ করেছেন তার জবাবে আবদুর রহমান বলেন, উনি ঠিকই বলেছেন, কারণ ৪৭ বছরের মধ্যে অনেক শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। উনি এরকম নির্বাচন দেখেননি। তাই এ কথা বলেছেন।
নির্বাচনের ফলাফলের পর বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় ঘেরাও করতে পারে- এ রকম ঘোষণার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঘেরাও করার যে সাংগঠনিক শক্তি দরকার সেটা তাদের (বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট) নেই। তবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা প্রতিহত করবে।
এসময় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, বিএম মোজাম্মেল হক, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুর সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এসকে/এসএইচ