বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে বুধবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় গ্রেফতাররা হলেন- লক্ষ্মীপুর সদর (পূর্ব) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রূপম হাওলাদার, সদর (পশ্চিম) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল হক মাহবুব, পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মিজানুর রহমান, যুবলীগ নেতা আকিব খান, রিয়াজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, ইকবাল হোসেন, সাইফ উদ্দিন আফলু, আলী আজগর ও ছাত্রলীগ নেতা আশিক আহমেদ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- লক্ষ্মীপুর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আল-আমিন ভূঁইয়া, লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক তফসির আহমদ, যুবলীগ নেতা আরজু, ইসমাইল, রাকিব পাটোয়ারী, রকি, মান্নান, রিয়াজ, আরজু, ছলিম পাটোয়ারী, মোল্লা ফারুক, আলম, গিয়াস উদ্দিন রুবেল ও মিজি আলাউদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে সদর হাসপাতালে দেলোয়ার হোসেন নামে এক চিকিৎসাধীন যুবকের ওপর হামলার চেষ্টা করে যুবলীগের নেতারা। এতে বাধা দিলে পুলিশের ওপরও হামলা করেন তারা। এ ঘটনায় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সদর থানার এসআই আলীম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।
এর আগে বুধবার (২ জানুয়ারি) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আঠিয়াতলী গ্রামের যুবক দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ফজলুর সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে দুজনকেই আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় যুবলীগ নেতাকর্মীরা চিকিৎসাধীন দেলোয়ারের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা করেন তারা। এ সময় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও ঘটনাস্থল থেকে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ১০ জনকে আটক এবং জব্দ করা হয় কয়েকটি মোটরসাইকেল।
আহতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশের এসআই আবদুল আলীম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গিয়াস উদ্দিন, কনস্টেবল নয়ন পাল, মেহেদী হাসান ও সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমনসহ ১০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
এসআর/আইআইএস/