ব্যাংককের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) রাতে সাড়ে ৯টার দিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈয়দ আশরাফ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাংকক সময় রাত সাড়ে ৯টায় আমাদের দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মারা যান।
হাসপাতালে তার শয্যা পাশে সৈয়দ আশরাফের দুই বোন ও ভাই ছিলেন বলে জানান তিনি।
জানা যায়, ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ৬৭ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ বেশ কিছুদিন ধরে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অসুস্থতার কারণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন তিনি।
দেশে না থেকেও গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফ কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন। গত ১ জানুয়ারি নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার নির্বাচিতদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তবে উপস্থিত হতে পারেননি ব্যাংককে চিকিৎসাধীন সৈয়দ আশরাফ। শপথের জন্য সময় চেয়ে স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আশরাফ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। দুই মেয়াদে ওই দায়িত্ব পালনের পর এখন তিনি দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
জাতীয় চার নেতা ১৯৭৫ সালে কারাগারে নিহত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যে চলে যান সৈয়দ আশরাফ। দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচন করে তিনি সংসদ সদস্য হন। এরপর ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হন তিনি।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনা কারাবন্দি হলে আওয়ামী লীগের যে কয়জন নেতা দলের হাল ধরেছিলেন, তাদের অন্যতম সৈয়দ আশরাফ।
এদিকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮/আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা
এসকে/এমইউএম/এমএ/এসএইচ