শনিবার (০৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে তারা নোয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গাড়ি বহরে থাকা চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দিদার জানান, গাড়ি বহরে আছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মো. শাহজাহান, যুগ্ম-মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন শিরিন সুলতানা, রেহেনা আক্তার রানুসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
সুবর্ণচরে ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারী (৪০) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সেখানেই যাবেন। ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের শনিবার রাতেই ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
ওই গৃহবধূ এবং তার স্বজনদের অভিযোগ, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচনের দিন সেই নারী ধানের শীষে ভোট দিয়ে ফেরার পথে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন। এরপর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১০ জন মিলে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন। এছাড়া ওই দম্পতি এবং তাদের সন্তানদের পিটিয়ে জখম করেন তারা।
এরপর সকালে সেই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেই নারীকে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে জখম করার আলামত পাওয়ার কথা জানান।
এ নিয়ে পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর সেই নারীর স্বামী চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু গৃহবধূর স্বজনরা অভিযোগ করেন, এই বর্বরোচিত কাণ্ডে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই রুহুল আমিনকেই আসামি করা হয়নি। এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। সরকারের পক্ষে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও জানিয়ে দেন, গণধর্ষণের ঘটনায় কেউ রেহাই পাবে না। এ বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে।
এছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মূল আসামিসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস