শনিবার (০৫ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে ২১ নং বেইলি রোডের বাসভবন থেকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স রওনা হয় সিএমএইচের দিকে।
এর আগে সন্ধ্যা ৭ থেকে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত প্রায় ২ ঘণ্টা সৈয়দ আশরাফের মরদেহ তার বাসায় সব শ্রেণি-পেশার পেশার মানুষের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হয়।
এ সময় শ্রদ্ধা জানাতে সৈয়দ আশরাফের নিকট আত্মীয় ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ছাড়াও সরকারি পদস্থ কর্মকর্তারা ছুটে আসেন বেইলি রোডের ওই বাসায়।
পড়ুন>>শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত সৈয়দ আশরাফ
শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে জমায়েত হন কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলার আওয়ামী লীগ নেতা ও সাধারণ মানুষ; যেখানে কেটেছে সৈয়দ আশরাফের শৈশব ও যৌবনের দিনগুলো।
এ সময় সদ্য শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কাছে পরাজিত হওয়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চুন্নুকেও সেখানে দেখা যায়।
এর আগে বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বেইলি রোডের সরকারি বাসায় তার মরদেহ আনা হয়। তবে এর আগে থেকেই সেখানে ভিড় করেন আওয়ামী নেতা-কর্মী ও তার শুভ্যানুধ্যায়ীরা।
আওয়ামী লীগের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার (০৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফের প্রথম জানাজা হবে।
সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীও অংশ নেবেন।
সৈয়দ আশরাফের চাচাতো ভাই সৈয়দ আশফাক টিটু জানান, সংসদ ভবন চত্বরে জানাজা থেকে রোববার দুপুর ১২টায় তার নিজ জেলা কিশোরগঞ্জে নেওয়া হবে। শোলাকিয়া ঈদগাহে দ্বিতীয় জানাজা হবে।
এরপর হেলিকপ্টারে মরদেহ নেওয়া হবে ময়মনসিংহে; সেখানকার আঞ্জুমান ঈদগাঁহে শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ আসর রাজধানীর ঢাকার বনানী কবরস্থানে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানান তিনি।
সৈয়দ আশফাক টিটু সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার বেইলি রোডে তার প্রয়াত বড় ভাইয়ের সরকারি বাসভবনে বাদ আসর কুলখানি ও দোয়া মাহফিল হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৯
জিসিজি/এমএ