ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি নেতা হত্যা পরিকল্পিত বলে ধারণা পুলিশের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
বিএনপি নেতা হত্যা পরিকল্পিত বলে ধারণা পুলিশের

বগুড়া: বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম শাহীন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যেই সাড়ে ১০ ঘণ্টার অধিক সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানতে পারেনি।

এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।

তবে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।  
 
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
 
তিনি জানান, ঘটনার পর থেকেই হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। এছাড়া মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
 
এদিকে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার মতো হবে। দিনের কাজকর্ম সেরে নিজের প্রাইভেটকার চালিয়ে বিএনপি নেতা শাহীন শহরের ধরমপুরের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথমধ্যে বাসা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার আগে শহরের উপ-শহর বাজার এলাকায় ১০তলা ভবনের সামনে গাড়ি থামান। গাড়ি থেকে নেমে বিসমিল্লাহি ট্রেডার্স নামে একটি চালের দোকানে যান। সেখান থেকে এক বস্তা চাল ও কয়েক কেজি পোলাওয়ের চাল কেনেন। এরপর সেগুলো নিজের প্রাইভেটকারে ওঠান। নিজেও গাড়িতে ওঠতে যান। এসময় তাকে ডাক দেন নুনগোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলীমুদ্দিন। তার ডাক পেয়ে রাস্তার এপার থেকে ওপার যান বিএনপি নেতা শাহীন। পরে চেয়ারম্যান আলীমুদ্দিনের নানা আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন তিনি।
 
পুলিশের তথ্যানুযায়ী, তার আগ থেকেই আশপাশেই অবস্থান করছিলো অন্তত চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত। চালের দোকানের পাশে একটি বন্ধ চা স্টলের আশপাশেই ছিলো তারা। আগাম পরিকল্পনা অনুযায়ী দুর্বৃত্তরা এ বিএনপির নেতার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বুকসহ তার শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে ছুরিকাঘাত করলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। স্থানীয়রা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দ্রুত পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
 
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত মরদেহ মর্গে রয়েছে বলে জানা গেছে।  
 
এদিকে, ঘটনার পরপরই রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ ভূঁঞা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তীসহ জেলার অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা।  

অপরদিকে খবর পেয়ে গভীর রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনসহ জেলার কয়েকজন শীর্ষ নেতা। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানান।
 
সোমবার সকাল পৌনে ১১টায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনাটি নিয়ে জরুরি সভায় বসবো। সভা থেকে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
 
মামলা করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির এ নেতা বলেন, সভায় আলোচনা করে সবকিছু ঠিক করা হবে। মামলাটি তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা হবে।  

** বগুড়া সদর বিএনপির সা. সম্পাদককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
এমবিএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।