ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

তৃণমূলে জাঁকজমকভাবে মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
তৃণমূলে জাঁকজমকভাবে মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন হবে

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষ’ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে কমিটি গঠনের পাশাপাশি মহানগরগুলোতেও উদযাপন কমিটি গঠন করা হবে। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপত্বি করেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।  

সূত্র জানায়, সভায় বলা হয়, মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তী তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উদযাপন করতে হবে। এজন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহানগরগুলোতেও উদযাপন কমিটি গঠন করা হবে। সর্বস্তরের মানুষকে মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত করতে হবে। মহানগরগুলোতে জনসংখ্যা বেশি, এ কারণে মহানগুলোতেও আলাদাভাবে কমিটি গঠন করতে হবে।  

সূত্র আরও জানায়, সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এসময় শেখ হাসিনা বলেন, তৃণমূলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। যে সব জায়গায় কমিটি নেই বা মেয়াদোত্তীর্ণ সেসব জায়গায় সম্মেলন করে কমিটি নতুন কমিটি করতে হবে। আওয়ামী লীগ কোনো বিপর্যয়ে পড়লে তৃণমূল দলকে রক্ষা করে। এ কারণে তৃণমূলকে সব সময় সংগঠিত রাখতে হবে।  

‘বিভাগীয় পর্যায়ে যে ৮টি টিম গঠন করা হয়েছে সেই টিমের সফরের তারিখ একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের পর নির্ধারণ করা হবে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সামনে সংসদ অধিবেশন শুরু হবে। এসময় সংসদ সদস্যরা এলাকায় থাকতে পারবে না। তাই পরবর্তীতে দিন তারিখ ঠিক করে আট বিভাগের সাংগঠনিক টিম সফর করবে। তবে কোথায় কোথায় সাংগঠনিক অবস্থা কি সে বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। ’
 
সূত্র জানায়, সভায় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মুকুল বোস দু’জন নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সভাপতিমণ্ডলির একজন সদস্য ও উপদেষ্টা পরিষদের একজন সস্যের নাম উল্লেখ করে মুকুল বোস বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এর প্রতিবাদে আমি এই উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যের কাছে স্বাক্ষর নিতে গিয়েছিলাম, তিনি স্বাক্ষর দেননি। আর সভাপতিমণ্ডলির এই সদস্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে পাকিস্তান চলে যান।  

সূত্র আরও জানায়, মুকুল বোসের এই বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওয়ান ইলেভেনের পর কারো কারো ভূমিকা কি ছিল সেটাও তো আমি জানি। তারা আমার আশপাশে আছেন, কাউকে কাউকে মন্ত্রীও করেছিলাম। এতোকিছুর পরও দলটাকে ক্ষমতায় আনতে পেরেছি সেটাই বড় কথা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯ 
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।