ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হক আর নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হক আর নেই

রাজশাহী: সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে ১০টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৬ বছর।

তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।  

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে জানান, আমিনুল হক দীর্ঘদিন যাবত ক্যান্সারে ভুগছিলেন।   

এদিকে, তার ভাগ্নে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টসহ কয়েকটি জটিলরোগে আক্রান্ত ছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে তাকে দেশে এনে ঢাকার ইউনাইটেড হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ১০টায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে তার ছেলেকে খবর জানানো হয়েছে। তিনি আমেরিকা থেকে এলে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মরদেহ গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হবে। তাই ছেলে আসার আগ পর্যন্ত তার মরদেহ হিমঘরে রাখা হবে।

ব্যারিস্টার মিলন বলেন, আজ বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এর পর বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে পল্টনে থাকা বিএনপি কার্যালয়ে। সেখানে বাদ আসর তার তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর পর তার মরদেহ হিমঘরে রাখা হবে। তার ছেলে এলে মরদেহ দাফনের জন্য রাজশাহীর গোদাগাড়ী নিয়ে যাওয়া হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আমিনুল হক রাজশাহী-১ আসন (গোদাগাড়ী-তানোর) থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী ছিলেন। এর মধ্যে জোট সরকারের দুই মেয়াদের প্রথমে প্রতিমন্ত্রী এবং সর্বশেষ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি এ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯/আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা 
এমএইচ/এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।