ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দল না চাইলেও শপথ নিতে চান বিএনপির তিন এমপি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
দল না চাইলেও শপথ নিতে চান বিএনপির তিন এমপি

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত ছয়জনের মধ্যে একজন ইতোমধ্যে শপথ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার আসন বগুড়া-৬ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি শপথ নেবেন না।

ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান জাহিদ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শপথ নেওয়ার পর শনিবার (২৭ এপ্রিল) দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন। বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচিত মোশাররফ হোসেন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে শপথ নেবেন না বলে জানা গেছে।

এর বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ থেকে নির্বাচিত মো. আমিনুল ইসলাম ও মো. হারুন অর রশীদ শপথ নিতে প্রস্তুত।  

অপরদিকে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া মিডিয়ায় বলেছেন, তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না। কিন্তু তিনিও শপথ নিতে চান বলে বিভিন্ন সূত্র বলছে।

এ অবস্থায় রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দীর্ঘ দুই ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠক করেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। স্কাইপিতে যুক্ত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

জানা গেছে, দলের নির্বাচিত চার এমপির মধ্যে তিনজনকে গুলশানে ডেকে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা সবাই এই তিনজনকে শপথ না নেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু অনুরোধের বিপরীতে নির্বাচিতরা এলাকার জনগণের চাপের কথা তাদের জানান। এ কারণে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ধারণা করছেন, তাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাহিদুরের পথ ধরতে পারেন এই তিনজন। যদি তাই হয়, তাহলে এই তিনজনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হবে, এমন সিদ্ধান্তই নিয়ে রাখা হয়েছে।

একইসঙ্গে তারেক রহমানকে এককভাবে সবধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ারও ক্ষমতা পুনরায় দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এককভাবে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। তারপরও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাকে পুনরায় এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।

জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের নির্বাচিত সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে বাংলানিউজকে বলেন, আজ বিকেলের মধ্যে দল থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। আমরা শপথ নেবো কি নেবো না। দল যদি যেতে বলে তাহলে সংসদে যাবো। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

এদিকে, নির্বাচিত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সংসদে শপথ নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা ৩০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবারের মধ্যে শপথ না নিলে তাদের আসন শূন্য ঘোষণা করবেন কি-না সেটা স্পিকারের এখতিয়ার। তবে নির্বাচিতরা যদি স্পিকারের বরাবরে সময় চেয়ে আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে স্পিকার তাদের শপথ নেওয়ার জন্য সময় বাড়িয়ে দিতে পারেন।

একটি সূত্র জানায়, বিএনপি যদি সোমবারের মধ্যে নির্বাচিতদের শপথ নেওয়ার অনুমতি না দেয়, তাহলে ওই তিনজন সময় চেয়ে স্পিকারের কাছে আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে দলের অনুমতি পাওয়ার জন্য আরও কিছু সময় পেতে পারেন ওই নির্বাচিত সদস্যরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।