ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘খালেদার জামিনে ফের প্রমাণ হলো, আদালত স্বাধীন’    

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
‘খালেদার জামিনে ফের প্রমাণ হলো, আদালত স্বাধীন’     সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দু’টি মামলায় জামিন পাওয়ায় আবারও প্রমাণিত হলো, আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করছে। 

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর কাওলায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মে মাসের কাজের প্রতিবেদন ও সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আদালত সব সময়ই স্বাধীন।

শেখ হাসিনার সরকার কখনোই বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করে না। খালেদা জিয়ার ব্যাপারেও আদালত স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এ জামিনের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হলো, আদালত স্বাধীন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি নেতারা) শুধু বিরোধীতার জন্য বলেন, আদালত স্বাধীন নয়। তার (খালেদা) জন্য দলীয়ভাবে কিছু করতে ব্যর্থ হয়ে সরকারের ওপর দোষ চাপায়।  

খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন কি-না? এ প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটাও আদালতের ব্যাপার। মামলা তো অনেকগুলো। সব মামলায় জামিন পেলে আদালত মুক্তি দেবেন। আদালত নির্দেশ দিলে সরকার কাউকে জেলে রাখতে পারে না।  

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব শপথ না নিয়ে মনে মনে আফসোস করছেন। তাদের দু’জন এমপিই সংসদ গরম করে দিয়েছেন। উনি (ফখরুল) থাকলে সংসদ আরও গরম হতো। তিনি শপথ না নিয়ে নিজেকে ও দলকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি যোগ দিলেন না, সতীর্থরা যোগ দিলেন। যারা সংসদে যোগ দিয়েছেন, তারা তো কথা বলছেন। ফখরুল সাহেব কেন দ্বৈত নীতি গ্রহণ করলেন? সরকারবিরোধী কৌশলের জন্য তিনি (ফখরুল) শপথ নেননি, এ বক্তব্য হাস্যকর।

‘বগুড়ার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার, বিরোধী দলকে ফেল করানোর চক্রান্ত’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অতীতে ইভিএম যেখানে ব্যবহার হয়েছে, সেখানেই বিরোধী দলই সুবিধা পেয়েছে। তারাই জয়ী হয়েছে। বগুড়ার নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।

বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সরকার পতনের হুংকারের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ রঙিন স্বপ্ন কখন সফল হবে না।  বিনা মেঘে গর্জন হয় না। মেঘ তো সৃষ্টি করতে হবে। আষাঢ় মাস তর্জন-গর্জনের মাস। তাই তারাও গর্জন করছে।  

এসময় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফায়েজ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
টিএম/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।