ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, দেখতে চান মোশাররফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, দেখতে চান মোশাররফ

ঢাকা: জাতীয় সংসদে যেসব ঋণখেলাপিদের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে তা দেখতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

রোববার (২৩ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট আয়োজিত ‘২৩ জুন পলাশী ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‍

বাংলাদেশে এখন বাজার দখলের প্রতিযোগিতা চলছে উল্লেখ করে ড. মোশাররফ বলেন, আধিপত্যবাদ এবং সম্প্রসারণবাদ বাংলাদেশের বাজার দখলের জন্য মরিয়া।

আজকে সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর জন্য অস্বাভাবিক সরকার অস্বাভাবিক একটা বাজেট করেছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এতোবড় ব্যবসায়িকে কখনো (১০ জন ধনীর মধ্যে একজন) অর্থমন্ত্রী বানানো হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অর্থমন্ত্রী সুবিধাবাদীদের জন্য বাজেট দিয়েছেন। অপরদিকে মধ্যবিত্তদের ওপরে চাপ বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর ভ্যাটের প্রভাব বাড়ানো হয়েছে। সারাদেশের সব জনগোষ্ঠী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। সেই মোবাইল ফোনে কর বাড়ানো হয়েছে। ১০০ টাকার মধ্যে ২৭ টাকা চলে যাবে। এ একটি উদাহরণেই বোঝা যায় যে, এ বাজেট সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের জন্য করা হয়েছে। যারা মুদ্রা পাচার করে, ঋণখেলাপি, তারাই এ বাজেট থেকে সুবিধা পাবে।  
 
উন্নয়নের গণতন্ত্রের নামে মেগা প্রজেক্ট করে জনগণের পকেট থেকে টাকা নিচ্ছে দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল বাড়িয়ে ভ্যাট সম্প্রসারণ করে গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে। আর এর সুবিধা নিচ্ছে সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা।  
 
কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে ড. মোশাররফ বলেন, গত ৫ বছরে কারা কালো টাকা কামিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা, আওয়ামী লীগপন্থী ব্যবসায়ীরা। তাদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতেই বোঝা যায়, এ সরকার হচ্ছে তাদের সরকার, যাদের স্বার্থে এ বাজেট দেওয়া হয়েছে।

ব্যাংকে দলীয়করণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতাদের সেখানে না বসালে ঋণখেলাপি হওয়ার কথা না দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ঋণখেলাপিদের তালিকা সংসদে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা দেখতে চাই, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়। জনগণের আমানত বিদেশে পাচার করে ব্যাংকগুলোকে খালি করে যারা এ কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কী করে সেটা দেখতে চাই।
 
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল করিম প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।