ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বাজেটে সংসদ সদস্যদের মতামত নেওয়া হয়নি: বাদশা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
বাজেটে সংসদ সদস্যদের মতামত নেওয়া হয়নি: বাদশা প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে মতবিনিময় সভা। ছবি: জিএম মুজিবুর রহমান

ঢাকা: প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে পেশ করা হলেও, সেখানে সংসদ সদস্যদের মতামত নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি বলেন, বাজেট প্রণয়নের আগে কোনো বিশেষজ্ঞ বা সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া হয় না। আবার, প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে পেশ করা হলেও, সেখানে সংসদ সদস্যদেরও মতামত নেওয়া হয়নি। বাজেটে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তেমন কিছুই নেই। কার মতের ভিত্তিতে, কীভাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট আসলো, আবার তা জাতীয় সংসদে উপস্থাপনও করা হলো, তার কিছুই জানি না।

সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন আয়োজিত প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ওয়ার্কার্স পার্টির এ নেতা।

বাদশা বলেন, আমরা আমেরিকার মতো উদারনৈতিক অর্থ-ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছি।

অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বলেছেন, আমাদের বাজেটের সমপরিমাণ টাকা প্রতি বছর পাচার হয়ে যাচ্ছে। তাহলে, পাচার হওয়া টাকা কেন ফিরিয়ে আনছেন না? আবার, বাজেটের আগে প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো-শোনানো হলো, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা। কিন্তু বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ একেবারেই কম। তাহলে, কীভাবে বিশ্বমানের শিক্ষা আসবে? আবার বাজেট তৈরি হলো, সেটি সংসদে প্রস্তাবিত হলো, অথচ বাজেটের আগে সংসদ সদস্যদের কোনো মতামত নেওয়া হলো না।

তিনি বলেন, আগের অর্থমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি-না জানি না। তবে, তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কথা ভাবতেন, এবার সেটা দেখি না। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে রাখার কথা বলা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের। আমরা কেন এর মধ্যে থাকব? আবার, সবাইকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলেও, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বেড়েছে মাত্র দুই হাজার টাকা। এ বাজেটের সঙ্গে আমরা একমত না।

এসময় জাসদ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা-খেলাপিদের রক্ষার জন্য। সরকারের মুখে উন্নয়নের নহরের কথা বলা হলেও, এর মাধ্যমে লুটপাট হচ্ছে। আবার বলা হচ্ছে, এ বাজেট বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ। আমি মনে করি, দুর্নীতি বন্ধ করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, আর কোনো চ্যালেঞ্জ নেই।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিনিধি জাকির হোসেন বলেন, কালো টাকা সাদা করার মাধ্যমে দুর্নীতিকে আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। এতে কোনো লাভ হচ্ছে না, সরকার পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে পারছে না। মুখে বলা হচ্ছে, টেকসই উন্নয়নের কথা, আর সুন্দরবনের পাশে বড় প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধির কথা বলে একটা গোষ্ঠিকে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কাফি, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
ইএআর/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।