ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এরশাদের দাফন রংপুরেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এরশাদের দাফন রংপুরেই এরশাদের জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ (ইনসেটে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ)। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নেতাকর্মীদের বাধার মুখে রংপুরেই জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দাফন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।  

পড়ুন>>এরশাদের মরদেহ রংপুরে আটকে দিলেন নেতাকর্মীরা

তিনি বলেন, প্রয়াত এরশাদের প্রতি রংপুরের মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দেখে রংপুরে তাকে দাফন করার অনুমতি দিয়েছেন রওশন এরশাদ।

একই সঙ্গে স্বামীর পাশে নিজের জন্য কবরের জায়গা রাখারও অনুরোধ করেছেন তিনি।  

এর আগে জাতীয় পার্টির সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের দাফন রংপুরে করার দাবিতে সেখানে তার শেষ জানাজায় হট্টগাল শুরু করেন নেতাকর্মীরা। বেলা ১২টার পর রংপুর শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে চতুর্থ ও শেষ জানাজার জন্য এরশাদের মরদেহ নেওয়া হয়। সেখানে লক্ষাধিক মানুষ জানাজা শরিক হয়।

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ জুলাই সাবেক সামরিক শাসক এরশাদের মৃত্যু হয়। ওইদিন বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা হয়।  

সোমবার (১৫ জুলাই) বিরোধী দলীয় নেতা এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা হয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। এরপর বাদ আসর বায়তুল মোকররম জাতীয় মসজিদে তৃতীয় দফায় জানাজা হয়।

এরশাদের মৃত্যুর দিন জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়াত এই নেতার দাফন হবে বনানীতে সামরিক কবরস্থানে। তবে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ স্থানীয় নেতারা রংপুরে এরশাদকে কবর দেওয়ার দাবি করেন। সোমবারও এই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।  

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ঢাকা তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে এরশাদের কফিন নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। কফিনের সঙ্গে রংপুর যান জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের, এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি শাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।  

বেলা ১২টার পর রংপুর ঈদগাহ ময়দানে এরশাদের মরদেহ নেওয়া হয়। এরপর থেকেই সেখানে রাখা মাইকে এরশাদকে রংপুরে দাফনের দাবি ওঠে।

জানাজার আগে বক্তৃতায় মেয়র মোস্তফা এই দাবি আবারও তোলেন। এরপর জি এম কাদের বক্তব্য শুরু করেন। কিন্তু তার বক্তব্যের মাঝেই দাফনের বিষয়টি উল্লেখ করে স্লোগান শুরু হয়। এ সময় নেতাকর্মীদের মাঝে হট্টগোল শুরু করেন তারা।

এক পর্যায়ে বক্তব্য শেষ না করেই বেলা ২টা ২৫মিনিটে এরশাদের জানাজা শুরু হয়। জানাজার পর শত শত কর্মী এরশাদের মরদেহ বহনকারী গাড়িটি ঘিরে ধরেন। তাদের দাবি, রংপুরেই প্রয়াত নেতার কবর দিতে হবে।  

তখন ওই গাড়িতে ওঠে যান রংপুর সিটি মেয়র মোস্তফা। এ সময় মাইক থেকে তার প্রতি আহ্বান জানানো হয়, মরদেহ যেন রংপুর থেকে ঢাকায় না যায়। এ অবস্থায় বেলা ৩টার দিকে এরশাদের মরদেহ রংপুর শহরের ‘পল্লীনিবাসে’র দিকে নেওয়া হয়েছে।

এ অবস্থায় এরশাদকে রংপুরে দাফনের বিষয়ে তার স্ত্রীও সম্মতি দেন বলে জানান জাপা চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯/আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা
এসএমএকে/এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।