ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শান্তির পরিবর্তে ক্যাসিনো-বালিশকাণ্ডে মত্ত সবাই: সেলিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
শান্তির পরিবর্তে ক্যাসিনো-বালিশকাণ্ডে মত্ত সবাই: সেলিম

ঢাকা: যে ফুলকে বাঁচাতে আমরা মহান স্বাধীনতায় অংশ নিয়েছিলাম, সে ফুল আর রাজধানীতে ফোটে না। স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর যে শান্তির কথা উঠে এসেছিল, তার পরিবর্তে এখন ক্যাসিনো খেলা জমে উঠে। ভিসির কাছে ছাত্রের ৮০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি। পর্দা-বালিশের নামে লাখ টাকা লুটপাটের খেলা চলে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ আয়োজিত ‘জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে’ এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেলিম বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা একটি ফুলকে বাঁচাতে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেই।

অপরদিকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ফুলের মতো জীবন ধ্বংসে মেতে উঠেছিল। আমরা হয়তো ভেবেছিলাম এ যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ দেখতে হবে না। বড় কোনো যুদ্ধ না দেখলেও এখনও সেই ফুলকে আমরা ফোটাতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে শান্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন, যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছিলেন, তা হারিয়ে গেছে। এখন সেই ফুলের পরিবর্তে ছাত্ররা এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ৮০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। বালিশ, পর্দাকাণ্ডে মেতে থাকে এক শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তারা। আর সরকারি দলের লোকেরা এখন মেতে উঠেছে টেন্ডার, চাঁদাবাজি ও ক্যাসিনো খেলায়।

তিনি বলেন, আমরা সব অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে পারলে আমাদের দেশে শান্তি আসতো। কিন্তু এর পরিবর্তে বিভিন্ন সামরিক চুক্তি করা হচ্ছে। এটা কার স্বার্থে করা হচ্ছে জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, এতে আমার দেশের কোনো লাভ হবে না। যারা যুদ্ধ করে, তারা করবে। তারা শান্তি আনতে পারবে না। এসব সামরিক চুক্তির কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।

বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।