ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

চিকিৎসার জন্য সম্রাটকে বিদেশ নেওয়ার দাবি আইনজীবীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৯
চিকিৎসার জন্য সম্রাটকে বিদেশ নেওয়ার দাবি আইনজীবীদের

ঢাকা: বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড পাওয়া সদ্য বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে যুবলীগের আইন সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হীরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ দাবি জানান।  

নিজেকে সম্রাটের মামলার প্রধান আইনজীবী উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট শাহনাজ পারভীন হীরা সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আমরা দেখতে এসেছিলাম আমার ক্লায়েন্ট ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট হাসপাতালে কেমন আছেন।

কিন্তু আমাদের দেখতে দেওয়া হয়নি।  

পড়ুন>>প্রেসার লো হলে সম্রাটকে হাসপাতালে নেওয়া হয়: জেলার

‘উনার শারীরিক কন্ডিশন অনেক খারাপ। গত ১০ সেপ্টেম্বর উনার হার্টে পেসমেকার লাগানোর জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ১৪ সেপ্টেম্বর একটি প্রোগ্রাম থাকার কারণে তার যাওয়া হয়নি। পরবর্তীতে দেশের পরিস্থিতি আপনারা সবাই জানেন। পরবর্তীতে তিনি অ্যারেস্ট হন। ’ 

তিনি বলেন, গতকাল (সোমবার) যখন আমরা উনার (সম্রাট) সঙ্গে দেখা করতে জেলগেটে গিয়েছিলাম, সেখানে অনেক প্রসিডিউর মেন্টেন করে অপেক্ষার পর তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়। তখন আমরা দেখতে পেয়েছি ওনার শারীরিক কন্ডিশন অনেক খারাপ ছিল। দূর থেকে বলছিলেন-উনার বুকে ব্যথা করছে।  

‘তিনি খুবই অসুস্থ। তিনি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কাছে দাবি করেছেন, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো হোক। তিনি সব সময় দেশের বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন। আমরাও দাবি করছি- উনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া হোক। ’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবী হীরা বলেন, আগে তো তার সুস্থতা। রাষ্ট্রের কাছে আমাদের দাবি থাকবে আগে উনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন। পরে না হয় রিমান্ডের আবেদন করা যাবে। এমনকি উনাকে যদি জেলগেটেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাও আইনজীবীর উপস্থিতিতে যেন করা হয়- আমাদের সে অনুরোধ থাকলো।  

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  

কুমিল্লা থেকে গ্রেফতারের পর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ছয় মাসের দণ্ড নিয়ে কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।  

তার বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দুটি মামলা করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এমএমআই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।