ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি ভারতবিরোধিতা করে মাঠে নামতে চাইছে: মেনন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
বিএনপি ভারতবিরোধিতা করে মাঠে নামতে চাইছে: মেনন সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান বলেছেন, বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যাকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত ভারতবিরোধিতা এবং ধর্মভিত্তিক  রাজনীতি নিয়ে নতুনভাবে মাঠে নামার চেষ্টা করেছে।

শনিবার (১২ অক্টোবর)  সন্ধ্যায়  ঢাকা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের অডিটোরিয়ামে ওয়ার্কার্স পার্টির মতিঝিল থানা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।  

রাশেদ খান মেনন বলেন, জামায়াতের প্রচার মাধ্যম ইতোমধ্যে আবরার ফাহাদকে আগ্রাসন  বিরোধী প্রথম শহীদ হিসেবে বর্ণনা করছে।

একই উক্তি করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য  ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এতেই বোঝা যায় ফাহাদের নিষ্ঠুর হত্যার বিচার চাওয়া থেকে তাদের লক্ষ্য হচ্ছে এটা নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করা।

তিনি বলেন, ভারতের ত্রিপুরাকে ফেনী নদীর পানি দেওয়া নিয়ে তারা আপত্তি তুলেছে। এতে বুঝতে হবে ত্রিপুরা রাজ্য আমাদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। এমনকি সে সময় ত্রিপুরা রাজ্যের জনসংখ্যার চেয়ে আমাদের আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল। তারা আমাদের জন্য তাদের ঘরবাড়ি সব ছেড়ে দিয়েছিল। সেই ত্রিপুরার একটি শহরে খাবার পানি আমরা দেবো না, এটা হতে পারে না।  

তিস্তার পানি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মেনন বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমরা এখনো তিস্তার পানি বণ্টনের চুক্তিতে আসতে পারিনি। তবে আমি মনে করি যদি বামফ্রন্ট অথবা জ্যোতি বসু ক্ষমতায় থাকতেন এ সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির বিজয়ের পর যারা সেদিন লাফালাফি করেছিল, তারাতো তার কাছ থেকে কিছু আনতে পারেনি। বিএনপি তার দীর্ঘ শাসনামলে তিস্তা কেন গঙ্গার পানিও আনতে পারেনি।  

ভারতের সঙ্গে চুক্তি বিষয়ে তিনি বলেন, এটা ঠিক ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা অনেক বেশি সংবেদনশীলতা দেখাচ্ছি। ভারত সেই সংবেদনশীলতা এখন পর্যন্ত দেখাতে পারছে না। ভারতকে অবশ্যই বুঝতে হবে কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হবে। ভারত যদি সেটা না বুঝে তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক যে উচ্চতায় পৌঁছেছে সেই সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা আশা করবো উভয় দেশের জনগণের পারস্পারিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এগিয়ে যাবে।  

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে একই সঙ্গে চরম বৈষম্য দুর্নীতি দলবাজি দখলদারিত্ব এ উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঘটনা ঘটছে তা মোটেই সরকারের জন্য সুখকর নয়। আমরা আশা করবো সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বলের দাসত্বের রাজনীতি বাদ দিয়ে ছাত্রদের স্বাধীন রাজনীতি করতে উৎসাহিত করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্বাচন দিয়ে প্রকৃত ছাত্র নেতৃত্বকে বের করে আনতে হবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগরের সদস্য মুর্শিদা আখতার নাহারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি কমরেড আবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল খালেক, জাকির হোসেন রাজু, মোস্তফা আলমগীর রতন, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায় প্রমুখ।

এদিকে, সকাল ১০টায় ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ওয়ার্কার্স পার্টির কোতোয়ালি থানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯ 
আরকেআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।