বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বগুড়া সদর উপজেলার কারবালা এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। এসময় মন্ত্রী জেলার গাবতলী ও আদমদীঘি উপজেলায় নবনির্মিত আরও দু’টি ভবনের উদ্বোধন করেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের অত্যাচারের রূপটা কত ভয়াবহ ছিলো, তা নতুন প্রজন্ম জানে না। কারণ আমাদের পাঠ্যপুস্তকে সেগুলো লেখা নেই। তাই পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরব গাঁথার পাশাপাশি হানাদার বাাহিনীর দোসর-জামায়াত ইসলামী, আলবদর, আল শামস্ ও রাজাকারদের বিভৎস নির্যাতনের কাহিনীও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যাতে নতুন প্রজন্ম তাদের ভালো-মন্দ বুঝতে পারে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, তিনি (জিয়াউর রহমান) সেক্টর কমান্ডার হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে ছিলেন না। তার সব কাজই ছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। তাই তিনি তার মন্ত্রিসভায় স্বাধীনতার পক্ষের কোনো লোককে স্থান দেননি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফয়েজ আহাম্মদ। স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাকিম। সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু, বগুড়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বগুড়া কমান্ডের সাবেক কমান্ডার রুহুল আমিন বাবলু।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
কেইউএ/ওএইচ/