ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মাঠে থেকেই সরকার পতন করতে চাই: ঐক্যফ্রন্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
মাঠে থেকেই সরকার পতন করতে চাই: ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ‘ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারের প্রতি ন্যূনতম মানুষের সমর্থন নেই। আমরা ক্ষমতার রাজনীতি করি না, তবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মাঠ ছাড়বো না। আমরা পকেট ভরতে রাজনীতি করছি না, তবে জনগণের টাকা দেশের বাইরে চলে যাবে, এটা হতে দেবো না। এবার আমরাও মাঠে এসেছি, ততক্ষণ পর্যন্ত মাঠে থাকবো যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হচ্ছে, ভোট ডাকাতি সরকারে পতন না হবে।’

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা।

ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব বলেন, চোরেরা চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে, আবার তারা বলে বড় বড় কথা।

চোরের মার বড় কথা বলা চলে না। জনগণ আর ভোট চুরিওলাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

তিনি বলেন, আমাদের শহর থেকে গ্রামে সর্বত্র আন্দোলন করতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। চোরদের দেখলেই বলতে হবে তুই চোর। আমরা মাঠে যখন এসেছি চোর সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়বো না।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ডাকসুর ভিপি নুরের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে, সেই ছবি ভিডিওগুলো কোথায়। এখন আবার নূরের নামে মামলা হয় কেন? এসব ফোরটুয়েন্টি ফাইজলামি বাদ দেন দেশের মানুষ সব বুঝে। ছাত্র আন্দোলনকে সবাই ভয় করে এই সরকারও করছে, তাই বারবার হামলা করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকজন গেলেই তারা বহিরাগত হবেন? সবার আসার অধিকার আছে, এখানে ছাত্রের বাবা-মা যান, পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা যান। তিনি নুরের ওপর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

তিনি বলেন, আমরা মাঠে যখন নেমেই পড়েছি, মাঠও ছাড়ছি না। গায়ের জোরে ভোট হয়েছে এই সরকারকে মানি না। আমরা কর্মসূচি দেবো ফোরটোয়েন্টি সরকারের বিরুদ্ধে। আমরা বড় কর্মসূচি নিয়ে আসছি, এই সরকারকে চলে যেতেই হবে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রাস্তায় থাকলেই সরকারের পরিবর্তন হবে। খালেদা জিয়া অনেক আগেই মুক্তি পেতেন। তার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আর সাত বিচারক যদি তার রিপোর্ট পড়তেন, অবশ্যই তাকে মুক্তি দিতেন।

ঢাকার দুই সিটিতে সরকারের ভোট ডাকাতির আরেকটি রূপ দেখা যাবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলে আবার তারা স্বাধীনতার কথা বলে। পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবার রাজত্ব করতো আজ ২২০০ পরিবার কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। ধনী-দরিদ্র্যের মধ্যে বড় ব্যবধান তৈরি হয়েছে। সরকারের লোকেরা জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করে। এজন্য কী আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম, আমার জনগণের টাকা লুট করবে এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি। আমরা এই লুটেরাদের পতন চাই, পতন করেই ঘরে ফিরবো।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি আবু সাঈদ বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সর্বত্র দলীয়করণ করা হয়েছে। সব জায়গাতে তারা আধিপত্য বিস্তার করছে, লুটপাট করছে। যারা জনগণের ভোটকে চুরি করেছে সেসব চোরের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আমরা সবাই মিলে অবশ্যই এই সরকারের পতন ঘটাবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।