ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কম ভোটের নির্বাচনে জয় পেয়ে ইতিহাস গড়লেন মহিউদ্দীন

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২১ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
কম ভোটের নির্বাচনে জয় পেয়ে ইতিহাস গড়লেন মহিউদ্দীন

ঢাকা: দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ভোট পড়ায় ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদে জয় পেয়ে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন।

ঢাকা-১০ আসনের ১১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে শনিবার (২১ মার্চ)। এতে মোট ভোটার ৩ লাখ ২১ হাজার ২৭৫ জন।

এদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৬ হাজার ৯৬৫ জন। অর্থাৎ ভোট পড়ার হার ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, যা দেশের ভোটের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ভোট পড়ার রেকর্ড।

প্রদত্ত ভোটের মধ্যে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৫ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিক থেকে শফিউল ইসলাম সবচেয়ে কম ভোটের নির্বাচনে নিজের শিবিরে জয় তুলে নিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকলেন।

তবে শফিউল ইসলামের চেয়েও একজন কম ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনের ইতিহাসে। তবে সে সময় ভোট পড়ার হার ছিল ৪০ শতাংশ।

ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নির্বাচন কমিশনে দীর্ঘদিন ধরে সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত থাকা সবচেয়ে দক্ষ সাবেক এক উপ-সচিবও এমন তথ্যই জানিয়েছেন।

ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অবসরে যাওয়া ওই কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ বাংলানিউজকে জানান, ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে ২৭১ নোয়াখালী-৩ আসনের নির্বাচনে ১১ হাজার ৩৭৮ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দিন কামরান চৌধুরী। ওই আসনে সে সময় ভোটার ছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৭৮জন। ভোট দিয়েছিলেন ৫১ হাজার ৮৩৮জন। ভোট পড়ার হার ছিল ৪০ শতাংশ।

এ দিক থেকে সবচেয়ে কম ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য হওয়ার রেকর্ড সালাউদ্দিন কামরান গড়লেও কম ভোট পড়া নির্বাচনে জয়ী হয়ে ইতিহাস হয়ে থাকলেন শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন।

'৯১ সালের ওই নির্বাচনে সালাউদ্দীন কামরানের নিকটতম প্রার্থী বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নুরুল ইসলাম পেয়েছিলেন ১০ হাজার ৮২ ভোট। আর সে সময়কার বাসদ নেতা আফম মাহবুবুল হক পেয়েছিলেন ৮ হাজার ৯৪৮ ভোট।

শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীনে নিটকতম প্রতিদন্দ্বি বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮১৭ ভোট।

এছাড়া জাতীয় পার্টির মো. শাহজাহান লাঙ্গল প্রতীকে ৯৭ ভোট, মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী হারিকেন প্রতীকে ১৫ ভোট, পিডিবির কাজী মো. আব্দুর রহিম বাঘ প্রতীক নিয়ে ৬৩ ভোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান ডাব প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮ ভোট।

ঢাকা-১০ আসনটির সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেছেন। আর শুন্য আসটিতে নির্বাচনে লড়ে ব্যবসায়ী নেতা মহিউদ্দীন জয় পেয়ে উড়ালেন নৌকার নিশান।

মহিউদ্দীনের নির্বাচনটি আরেকটি কারণে দেশবাসীর মনে থাকবে দীর্ঘদিন। আর সেটি হলো বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের হানায় যখন বাংলাদেশও আতঙ্কগ্রস্থ, সে সময় সকলের বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে ভোটটি সম্পন্ন করলো নির্বাচন কমিশন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভোটগ্রহণ করা হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
ইইউডি/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।