ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মেহনতি জনতার দীপ্ত ঐক্যের প্রত্যয় ‘মে’ দিবস: ন্যাপ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২০
মেহনতি জনতার দীপ্ত ঐক্যের প্রত্যয় ‘মে’ দিবস: ন্যাপ

ঢাকা: করোনা ভাইরাস সংকটকালে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত, শ্রমিকদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান ও চিকিৎসার নিশ্চয়তার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেছেন, মেহনতি জনতার প্রত্যয় দীপ্ত ঐক্যের মহিমায় আত্মোৎসর্গের পথ বেয়ে আবার ফিরে এসেছে মে দিবস।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) ‘মহান মে দিবস’উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে নেতারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ১৮৮৬ সালের এমন একটি দিনে শিকাগোর হে মার্কেটে শ্রমিক শ্রেণীর প্রাপ্য অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্যে, শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও আত্মত্যাগের যে গৌরবময় ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছিল, তা অনাদিকাল ধরে বিশ্বের সব শ্রমিকের কাছে স্বর্ণোজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

নেতারা এ মহান দিবসে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মেহনতি মানুষের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আরও বলেন, অম্লান মে দিবসের অন্তর্নিহিত শক্তি ও তাৎপর্য আমাদের জাতীয়, রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে অনুসরণ করে চলতে হবে। শিকাগোর শ্রমিক আন্দোলনের সেই মহান নেতা পারসন্স ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলে গেছেন, ‘আমাদের প্রাণ উৎসর্গ করছি পৃথিবীর সব মানুষের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য। ’

তারা বলেন, বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর অবহেলার কারণে শ্রমিক শ্রেণী তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে আজও বঞ্চিত। একদিকে মালিক শ্রেণী লুট করছে আর শ্রমিক শ্রেণী লড়াই করছে। বর্তমান করোনা ভাইরাস সংকটকালে চাকরিচ্যুতির ভয় দেখিয়ে কিছু গার্মেন্টস ও কারখানা খুলে দিয়ে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করা সে লুটেরা শ্রেণীরই কাজ। বর্তমান পরিস্থিতিতে গার্মেন্ট, কারখানা খুলে দেয়া চরম হঠকারিতা। এটা মালিকের মুনাফার স্বার্থে শ্রমিকদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া ছাড়া কিছুই নয়। দেশে যখন ‘সাধারণ ছুটি’, ‘লকডাউন’ চলছে এবং দেশবাসী চরম আতঙ্কে, তখন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়াই একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায় এভাবে গার্মেন্টস খুলে দেয়াটা গোটা জাতির জন্যই আত্মঘাতী। এ অবস্থা থেকে শ্রমিক শ্রেণীকে মুক্তি দিতে প্রয়োজন দেশপ্রেমিক সরকার।

নেতারা বলেন, জরুরি প্রয়োজনে চালু রাখা গার্মেন্টে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে চালু গার্মেন্টে শ্রমিকদের থাকা ও খাওয়া, যাতায়াত, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার উপযুক্ত ব্যবস্থা, মাস্কসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য-সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান, স্যানিটাইজেশন ইত্যাদি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এসময়কালে শ্রমিক ছাঁটাই, লে-অফ করা যাবে না।

তারা বলেন, করোনা সংকটকালে যে গণমাধ্যম বন্ধ ও সংবাদকর্মীদের ছাঁটাই করেছেন তারাও লুটেরাগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষারই বাহক। এসব মালিকরা মানুষ নামে অমানুষ। তাদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত এবং সামাজিকভাবে এদের বয়কট করা উচিত।

বাংলাদেশ সময়:১৪৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২০
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।